আবার হুতোমী নকশা
✍ পরিকল্পনায় শ্যামাপ্রসাদ সরকার
(আজকের নকশায় হুতোম – Mahua Banerjee দিদি)
পুষ্পস্তবক হতে অশ্রুফোঁটা গড়াতে গড়াতে দলপতাকা ভিজিয়ে ফেলেছে…নিজ নিজ পার্টিআপিসে নিষ্ঠাভরে ভাঙচুর…উদ্দেশ্যবিধেয় দেশসেবা ।
যারা অহিংসমতে কাঁদছেন এমনকি প্ল্যাটফর্ম টিকিটও পান্নি বলে, তাঁদের তোয়ালে নিংড়ালে চার গ্যালন স্যালাইন ওয়াটার পাওয়া যাবে…
বৈশাখী হাওয়ায় শোভন অশোভনের গোঁফ উড়ে গিয়ে কখনো ছোটোফুল কখনো বা বড়োফুলে ছেৎরে পড়ে…ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সরব সরোষ অশ্রুপতন ফলে বেহালা বাজানোর মঞ্চ পাচ্ছেন্না…সখী কাঁদেন, তিনি কাঁদেন, আম্মো কাঁদি ।
পাব্লিক বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে… চ্যাংদোলা করে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী বানিয়ে দেবে… তখন আবার আমাকে ভোট দিয়ো না গো বলে প্রচারে নামতে হবে… ক্কী ভয়ংকর বিপদেই না পড়েছি আম্রা আমজনতা!
চার্টে গরুর দুধ ফুটিয়ে ফুটিয়ে ফুটিয়ে ফুটিয়ে চার্কিলো সোনা পেয়েছি… তো ভিভি গাঙ্গুলি স্ট্রীটে মাসিচন্দের দোকানে সেই সোনা বিককিরি ক’রে বড়োলোক হবো ভাবছিলাম সেইটের পথ বন্ধ… বাড়ি থেকে বেরোলেই হাতে কোকেনাদ ধরিয়ে ক্যান্ডিডেট বানিয়ে দিচ্ছে।
আরিব্বাস্সিদ্দিকী আবার বলেন ইগনোরেন্স অফ ল ইজ নো এক্সক্যুজ একথা তিনি জান্তেন্না… এখন পড়াশোনা করে জেনেছেন…
ল অত্থাৎ আইনের কথাই যখন উঠলো তখন একটি ড়ামভরসার কথা শোনাই… এতো দুঃখের মধ্যে ঐটুকুই স্বান্ত্বনা… সম্বিধানের চোখে নারী পুরুষ সকলের সমানাধিকার…ছোটোফুলবিরোধী একটি ট্রোল গ্ৰুপ বাবাদের ওভারিয়ান সিস্ট,মায়েদের প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের অপারেশন করাচ্ছে মামরি হাস্পাতালে…ভর্তি হওয়ার সময় ব্যস্তসাথী কার্ড নিয়ে যেতে ভুলবেন্না যেন ।
হরিবোল! হরিবোল!
–~০০০XX০০০~–