সাঁকো
✍ সেমিমা হাকিম
পাগলদের ওপর ঠিক বিশ্বাস রাখা যায় না।
কখন সুস্থ হয়!
যদি ফিরে পায় পুরনো অভিজ্ঞান!
তারপর?
মোড়ের কোনে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
ধুলো মাখা দিন
চাঁদ খেকো রাত
এক ব্যাগ গোপন সম্পত্তি
দেশলাইয়ের খাপ
নারকোলের মুচি
এক পাটি চপ্পল
ইত্যাদি এবং প্রভৃতি
আর থাকে উলোঝুলো কোন মেয়ে
যাকে দেখলেই পাগলের মনে পড়ত ঠিকানা
নির্ভুলভাবে বলে দিত
প্রযত্নে ঘাট সেলামি রায়
সাড়ে সাতান্ন ময়রা মুদি লেন
শহর কিস্তিমাত
জেলা ভুলভুলাইয়া
মেয়েও ঝাঁ ঝাঁ রোদে মাঝে মাঝে ছাদে ওঠে
কার্নিশে ঝুঁকে দেখে পাগলকে
নাকের ডগায় জমে ওঠে বিনবিনে ঘাম
ভরন্ত মাদি কুকুরের মতন দুপুর বাতাস
লিখে চলে নিষিদ্ধ গদ্য
ছাদের আধমরা টগর গাছের ছায়ায়
মেয়ে ভেঙে যাওয়া গল্পের শিরদাঁড়া দিয়ে চিঠি লিখত গুছিয়ে
বিকেলে পিয়ন সেজে ঝড় এলে
সব বুঝিয়ে
ঝোলায় ফেলে দিত চিঠিখানা
তারপর চোখ বুজে কপালে হাত ছোঁয়াত
বিড় বিড় করে হয়ত বলত,
হয়ত কেন আমি নিশ্চিত যে এটাই বলত
ঠিকানা যেন না মেলে কখনও
পাগল থাক চোখের সামনে
হাতড়ে বেড়াক ঠিকানা,পুরনো গলি
নিশি লাগা রাতে আর্তনাদ করুক
তবু থাক নজরের সামনে
কোন কোনদিন
রঙ গোলা সন্ধে হারিয়ে গেলে
গাছের ফাঁক গলে
মেয়ে চুপিচুপি একটা চপ বা পকোড়া নিয়ে
সামনে দাঁড়াবে তার
অবোধ চোখে লেগে থাকা নির্ভার বিশ্বাস
ওম হয়ে ছুঁয়ে যাবে মেয়ের বুক
পাগলের পুরীষ গন্ধ ছোঁবে না অনুভূতি
মেয়ে মনে মনে বলে উঠবে
পাগলই থেকো প্লিজ প্রেমকে ছুঁয়ে
নয়ত আবার ভয় পাব ভালোবাসার নামে!
–~০০০XX০০০~–