বিষাদ ছেয়ে যায়
✍ মৌসুমী মৌ
দিবারাত্রি মাথার ওপর ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানটাকে আমার আজকাল ঈর্ষা হয়| তার সরব যান্ত্রিক বাতাসে মিশে থাকা যে কাঙ্খিত নিষ্ঠা ব্যাঙ্গ হয়ে আমার আপাদমস্তক শীতল করে| যা শান্তির অপচেষ্টা মাত্র|
তার ভয়ানক গতি আমায় বড় পীড়া দেয়|
আমি দৌড়ে সুইচটা বন্ধ করি|
আস্তে আস্তে থামতে থাকা পঁচিশ বছরের বৃদ্ধ পাখা মনে মনে আমায় শাসিয়ে যায়– প্রয়োজন কিন্তু আমার ফুরোয়নি|
আবার আমায় ডাকবে…
আবার…
বরং তোমার এই মূল্যহীন জীবন
কোনো দাগ কেটে যাবে না
কোনো ছাপ রেখে যাবে না
কোনো চিহ্নও অবশেষ থাকবে না l
তোমার থাকা আর না থাকার মাঝে পৃথিবীর এক কণামাত্র তফাৎ হবে না l
ফুরিয়ে যাবার আগে গোপন কোনো কোণে বিষাদটুকুও ঝরবে না!
পুবের গান শেষ হবে পশ্চিমে– ঠিক যেমনটি হওয়ার কথা l না দেখলেও ভোরের মাটিতে মিশে থাকবে রাত শেষের মুগ্ধতা! ম্যাগ্নলিয়ার সুবাস ছড়াবে বাতাসে lএলোভেরার পুরুষ্ট পাতার গভীরে শিশির জমা হবে l ছাদের কার্নিশে চাঁদিয়াল রোদ ঝুলে থাকবে যতক্ষণ না সূতোয় টান পড়ে …
আর তুমি পৃথিবী মুখ ফিরিয়ে নিলে
ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে কোনো এক সন্ধ্যা তারার পথ চেয়ে l
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি অমীমাংসিত প্রশ্নের মত…
–~০০০XX০০০~–