কোলকাতার শহরে বাতাসে বিষ। ঠিকই পড়েছেন। গাড়ির ধোঁয়া, রাস্তার ধুলো কিংবা নির্মাণশিল্প জনিত দূষণের কথা জানাই ছিল। এই সব উপাদান যে বাতাসের বিষ বাড়িয়ে দিচ্ছে, সে কথা কারো অজানা নয়, সেই মতো শহরের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পদক্ষেপও করা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও বায়ু দূষণের উৎসের একটা বড় অংশই অজানা থেকে যাচ্ছে। বতর্মানে শ্বাসবাহিত ধুলিকনার মাত্রা 60 শতাংশ প্রায়। এছাড়া ডানলপ সকল 11টা নাগাদ শ্বাসবাহিত ধুলিকনার মাত্রা 100 শতাংশ, খান্নামোড় সকল 11.30 শ্বাসবাহিত ধুলিকনার মাত্রা 90 শতাংশ, রুবি মোড় দুপুর 1টা শ্বাসবাহিত ধুলিকনার মাত্রা 120 শতাংশ, এখানে বায়ুমন্ডের নিচের স্তরে ধুলিকনার স্তর জমেছে। সকাল আটটায় বালিগঞ্জে দূষণের পরিমাণ ছিল তিনশো তেইশ মাইক্রোগ্রাম। তাকে ছাপিয়ে রেকর্ড রবীন্দ্র ভারতীতে। মাত্রা তিনশো বিয়াল্লিশ মাইক্রোগ্রাম। আর কলকাতার অন্যতম ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় পরিমাণ তিনশো দুই মাইক্রোগ্রাম। বেলা বাড়লেও নিস্তার মেলেনি। বেলা এগারোটায় আরও ভয়ঙ্কর হয় শহরের দূষণচিত্র। বালিগঞ্জ তিনশো উনপঞ্চাশ মাইক্রোগ্রাম। রবীন্দ্র ভারতী তিনশো আটাত্তর মাইক্রোগ্রাম। আর রবীন্দ্র সরোবর তিনশো সাত মাইক্রোগ্রাম।কলকাতার পাশাপাশি সল্টলেকেও প্রায় গোটা দিন আকাশ ঢেকে থাকে ধোঁয়াশায়। উত্তরে হাওয়ায় বাতাসে বিষ বাড়াচ্ছে দিল্লিতে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের দাবি, কলকাতায় ঠিক উলটো। তাঁদের মতে, এখানে হাওয়া আটকে গিয়ে বাড়াচ্ছে দূষণ। বুধবার যা ছিল মাত্রাছাড়া। সবথেকে বড় কথা হলো এই করোনার পরিস্থিতির মধ্যে এই বায়ু দূষণ চিন্তার কারন কারন যেসব করোনা আক্রান্ত রোগি করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছে তাদের ফুসফুসের জন্য এই বায়ু দূষণ খুব খারাপ এবং চিন্তার বিষয়। বায়ু দূষণে পণ্যবাহী গাড়ি, রাস্তার ধুলোর মতো উৎসর তো বড় ভূমিকা রয়েছে, তা পরিষ্কার। সেই মতো আরও আগেই পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল।
—০০০::XX::০০০—