–:: তাপসকিরণ রায় ::-
ডাঁসা পেয়ারা
তোমায় কিছু করতে হয়–সময় তুলে নিচ্ছে দুঃখ
সুখ থেকে তুমি চাইছো একটা ডাঁসা পেয়ারা কামড়ে ধরতে
বারবার পেয়ারা ও তোমার দূরত্বের ইচ্ছেগুলি জুড়ে যাচ্ছে
আর শেষবার তুমি কাছে পেয়ে কামড়ে ধরলে–
তার কান্নায় তুমি কেঁদে উঠলে–মনের মধ্যে একটা প্যাচ দেখে নিলে তুমি
তা ছাড়াতে পারছ না কিছুতেই, এবার সুখ-দুঃখ এক জাগায় ঝুলছে
লাল সুতো ঝুলছে বট বৃক্ষের সিঁদুর !
নাচ
ঠমক নাচের মধ্যে মেয়েটা হাসির মুদ্রা দিচ্ছিল
কান্নায় তাকে কিন্তু গ্লিসারিন লাগাতে হয়নি
আমি সুখ চিতিয়ে খাচ্ছি
তোমার বিরহ থেকে স্থিতিস্থাপকতা উঠে আসতে আসতে
আর এক বসন্ত এলো, ঠিক তোমার মত মেপে নিলাম সবকিছু
পূর্ণত এক নারী আদলে ঢেলে দিলাম সব কিছু
ডুব জলের পিপাসা না মেটাতে পারার খেদে।
কুকুর
কুকুরটাকে দেখছি–শীতের ওমে সেও আঁচ খুঁজে ফিরছে
প্রভুর চাদর শুঁকে সেও তার চারপাশটা ওম খুঁজে নিচ্ছে
ধর্মগুলি একই রকম বেঁচে থাকতে পারে
একটা মাঘমাসী শিকারি লাইনের পাশে রেল লাইন কেটে ট্রেন বেরিয়ে যাচ্ছে।
ঝাঁপ
খেতে হয়, না হলে শরীর মরে যায়
ভালবাসতে হবে নতুবা একদিন প্রেম মরে যাবে
মনে পড়ে একদিন ভুখা পেটে শুয়োরের মাংস খেয়ে ছিলাম
মনের মাঝে একটা ঝাঁপ মনে হয়, ঝাঁপ দেওয়া লুটোপুটি খাওয়া একটা দৃশ্য
তুমি থেমে গিয়েছিলে, ধর্ষণের গায়ে নখের সনাক্ত চিহ্ন থাকে
তবুও খুঁজে দেখি না আমরা ধর্ষণের মাঝে একটা ঝাঁপ বেঁচে থাকে।
—০০::XX::০০—