আমরা সবসময় কোনো অজানা বিষয় জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকি। কিন্তু কোনো কোনো বিষয় সঠিকভাবে না জেনে সেই বিষয় সম্পর্কে সার্চ করা উচিত নয়। এই বিষয়ে আপনাকে সবসময় একটু সতর্ক থাকতে হবে না হলে আপনি বড় কোন জালিয়াতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাহলে দেখে নিন জালিয়াতের হাত থেকে বাঁচার জন্য কোন কোন বিষয় আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। গুগল’-এ লুকিয়ে জালিয়াতির ফাঁদ। শিকার ধরতে এই সার্চ ইঞ্জিনেই জাল পেতেছে ব্যাংক জালিয়াতরা। কয়েকটি ‘কপিং অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ঘনাচ্ছে বিপদ। ব্যাংক জালিয়াতরাও শিকার ধরার জন্য ওঁৎ পেতে রয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন শহরের প্রবীণরা। যদিও প্রবীণরা ছাড়াও যে কেউই নিজের অজান্তে পড়তে পারেন। সঠিক URL না জেনে নেট ব্যাঙ্কিং-এর জন্য কখনোই গুগলে ব্যাংকের ওয়েবসাইট সার্চ করা উচিত নয়। আপনি যদি ব্যাংকে লেনদেন করেন তাহলে আপনার সেই ব্যাংকের সঠিক অনলাইন ঠিকানা জেনে রাখা উচিত। বর্তমানে ব্যাংকের ওয়েবসাইট এর মতো আরো অনেক ফেক ওয়েবসাইট আছে। আর যদি এই ফেক ওয়েবসাইটগুলিকে ব্যাংকের সঠিক ওয়েবসাইট ভেবে আপনার গোপন আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চিত জালিয়াতি শিকার হবেনই।স্ক্যামারদের সবসময় নজর থাকে সরকারি ওয়েবসাইট গুলিতে। তাই যেকোনো কাজে কোনো সরকারি ওয়েবসাইট খুঁজতে গুগলে সার্চ করবেন না। কারন গুগল সার্চে পাওয়া অনেক ওয়েবসাইটই সঠিক মনে হলেও তা এক প্রতারণার শিকারও হতে পারে। কোনো সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নাম্বার গুগলে কখনোই সার্চ করা উচিত নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল নম্বর দেওয়া থাকে। আর এই নম্বর গুলিতে ফোন করলে বড়োসড়ো বিপদের মুখোমুখি হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সাইটের কন্ট্যাকে গিয়ে কাস্টমার কেয়ার নাম্বার জোগাড় করা উচিত। কোনো রোগের ওষুধ জানার জন্য কখনোই গুগল এর উপর ভরসা করা নিরাপদ নয়। কারণ কোন রোগের কী লক্ষণ সে বিষয়ে যথাযথ উত্তর পাওয়া যায় না গুগলে।
কোথায় বিনিয়োগ করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি বড়লোক হয়ে যাবেন এরকম কোনো স্টক মার্কেট বা পার্সোনাল ফাইন্যান্স বিষয়ে কখনোই গুগলে সার্চ করবেন না। অফুরন্ত সুবিধার সাথে অ্যান্টি ভাইরাসের বিজ্ঞাপন দেখে তা ডাউনলোড করাও নিরাপদ নয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডিভাইসের ঢুকে পড়তে পারে বিপদজনক ভাইরাস আপনার অজান্তেই। আর এটির মাধ্যমে জালিয়াতরা আপনার ডিভাইসের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।
অনলাইন বিপণির মাধ্যমে কোনও সামগ্রী কেনার পর সেটি পালটাতে বা অনলাইন বিপণি সংস্থায় কোনও অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময়ই ফাঁদে পড়ছেন শহরবাসী তথা প্রবীণরাই। বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে লালবাজারের গোয়েন্দারা দেখেছেন, অনলাইন বিপণির মাধ্যমে কোনও পছন্দমতো জিনিস না পাওয়ার পর অভিযোগ জানানোর জন্য ‘গুগল’-এর মতো কিছু সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেন প্রবীণরা। সেই সার্চ ইঞ্জিনে অনলাইন বিপণি সংস্থার নম্বর ভেসে উঠেছে। তাতেই ফোন করেছেন প্রবীণরা। কিন্তু তাঁরা জানতেও পারছেন না যে, ওই একই সংস্থার নামে ভুয়ো সংস্থা খুলে আপলোড করেছে জালিয়াতরা। আর গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে ভেসে উঠছে সেই জালিয়াতদের ফোন নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করতেই জালিয়াত চক্রের এক সদস্য আশ্বাস দিয়েই বলছে, কোনও সমস্যা নেই।
এনি ডেস্ক’ বা ‘টিম ভিউয়ার’-এর মতো অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ওটিপি জেনে নিলেই ওই ব্যক্তির মোবাইলের ‘মিরর’ তৈরি করছে জালিয়াতরা। আয়নার মতোই ওই প্রবীণ মোবাইলে যা কাজ করছেন, সেই একই বস্তু নিজের মোবাইলে দেখতে পাচ্ছে জালিয়াতরা। তাঁর ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত তারা জেনে যাচ্ছে। একই সঙ্গে একটি ওয়ালেট অ্যাপও ডাউনলোড করানো হচ্ছে। ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রবীণদের টাকা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও করে দেয় জালিয়াতরা। সেই কারণেই লালবাজারের গোয়েন্দারা শহরের বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করছেন, তাঁরা যাতে অনলাইন বিপণীর আসল নম্বরের খোঁজ করে তাতেই ফোন করেন। গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে যেহেতু ফাঁদ পাতা রয়েছে, তাই সেই ফাঁদে যেন তাঁরা পা না দেন। কেউ কোন লিংক পাঠালে তাতে যেন কোনমতেই তাঁরা ক্লিক না করেন। আর যদিও বা ভুলবশত করে ফেলেন তা হলেও তাঁরা যেন কোনও ওটিপি কাউকে না জানান। কারণ ওটিপি জানামাত্রই তাঁদের অজ্ঞাতেই মোবাইলের প্রত্যেকটি তথ্য এসে যাবে জালিয়াতদের হাতে। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পেনশন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রবীণদের প্রতারণা করছে একটি চক্র। তারা বলছে একটি বিশেষ স্কিমে তাঁর পেনশনের টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকা পেতে গেলে প্রসেসিং ফি লাগবে। শহরের বেশ কিছু প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী ও আধিকারিক সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রসেসিং ফি নেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা।
Google এ কিকি সার্চ করবেন না :-
1> ব্যাংকের নেটব্যাঙ্কিং সার্চে সাবধান.
2> সঠিক URL জানান না থাকলে নেটব্যাঙ্কিং সার্চ নয়.
3> ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আদলে অনেক ফিশিং সাইটে সার্চ করবেন না.
4> গুগল সার্চের মাধ্যমে ব্যাংকের পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্টের আইডি দুষ্কতীদের হাতে চলে যাবে।
5> সঠিক URL না জেনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন গুগলে সার্চ করবেন না।
6> গুগলে কোনও সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর সার্চ করা উচিৎ নয়।
——০ XX০—–