শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। তেমনই বয়স্কদের জন্য এই দুধ পরিত্যাজ্য। কিন্তু হলে কি হবে! পশ্চিমের শরীরচর্চায় জড়িতদের মধ্যে বিশ্বাস, নারীর বুকের দুধে রয়েছে এমন সব পুষ্টি উপাদান যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। আর সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সাইপ্রাসের এক নারী সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, রাফেলা ল্যাম্পরুউ নামের সাইপ্রাসের ওই নারী মাত্র ৭ মাসেই বুকের দুধ বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে গেছেন। যা কিনেছে বডি বিল্ডারেরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফেলা ল্যাম্পরুউ গত ৭ মাস আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
সন্তান হওয়ার পর নিয়মিত বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন তিনি। তবে এটাও লক্ষ্য করেন যে, সন্তানকে খাওয়ানোর পরও দুধ যথেষ্ট নষ্ট হচ্ছে। তাই ঠিক করেন বাড়তি দুধ তিনি বিক্রি করবেন।
অবশ্য বাড়তি দুধ তিনি অন্য শিশুদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। যাদের মায়েদের বুকের দুধ তৈরি হয় না। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে রাফেলার হয় অন্য অভিজ্ঞতা। দেখলেন, শিশুর মায়েদের চাইতে ব্যায়াম বীরদের দুধের প্রতি বেশি আগ্রহ। শুরুতে পর পর কয়েকজন বডি বিল্ডার তার কাছে বুকের দুধ কেনার জন্য যান। তারাই জানান, পেশী শক্তি বাড়ানোর জন্য বুকের দুধের কার্যকারিতা নাকি সবচেয়ে বেশি। পেশী শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে নাকি বুকের দুধের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি। সেকারণেই তাঁরা নানা রকম রাসায়নিক সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে মায়েদের বুকের দুধ কিনে খান। বডিবিল্ডারদের বুকের দুধ বিক্রি করে ইতিমধ্যে প্রায় ৪ কোটি টাকা রোজগার করে ফেলেছেন ২৪ বছরের ওই তরুণী। সেই কারণেই নানা রকম রাসায়নিক সম্পূরক খাদ্যের চাইতে বুকের দুধ তাদের বেশি পছন্দ। চাহিদা মোতাবেক তাই এদের কাছেই প্যাকেটে বুকের দুধ বিক্রি করা শুরু করেন রাফেলা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে তিনি নাকি প্রায় ৫ কোটি টাকা রোজগার করে ফেলেছেন। বিষয়টি যাতে প্রচার পায় সেজন্য ২৪ বছরের ওই নারী নিজের একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন। দুধ বিক্রির ব্যবসা নিয়ে দুই সন্তানের জননী রাফেলা স্বামী অ্যালেক্স’কে নিয়ে নাকি সুখেই সংসার করছেন।
<÷><÷><÷><÷>