পৃথিবীর মানচিত্রে করোনা পরীক্ষায় এবার অতুলনীয় সাফল্য :- খড়গপুর: করোনা (Corona) মোকাবিলায় দেশজুড়ে কটাইনমেন্ট জোনে চলছে লকডাউন এবং বাকি জায়গায় আনলকের প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও চলছে। তার পাশাপাশি ঔষধ বাজারে আসবে এই ঘোষণা করা হয়েছে। চাই যথেষ্ট সংখ্যক করোনা টেস্ট। দ্রুত কারোনা পরীক্ষার জন্য যখন সবাই হিমশিম খাচ্ছে, এরই মধ্যেই ম্যাজিক মেশিন। এই ম্যাজিক মেশিন নিয়ে এলো খড়্গপুর আইআইটি (IIT)। জানা গিয়েছে, ম্যাজিক মেশিনে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি রেজাল্ট জানতে মাত্র এক ঘন্টা সময় লাগবে। আরটিপিসিআরের মতোই নিখুঁত ফলের দাবি করেছে আইআইটি। আইআইটির তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক গুন বেশি নমুনা পরীক্ষার করা সম্ভব হবে। ২ বর্গফুটের মেশিন রক্ষণাবেক্ষনে খরচ কম। আরও জানা গিয়েছে, এই ম্যাজিক মেশিন চালাতে টেকনিশিয়ানের কোনও প্রয়োজন নেই। নেই এসির প্রয়োজন। দ্রুত মেশিন বাজারে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। করোনার হানায় বিদ্ধ দেশের জনজীবন। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষায় নয়া দিশা দেখাল খড়গপুর আইআইটি। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই এবার জানা যাবে করোনা পরীক্ষার ফল। তাও একেবারে সস্তায় নির্ভুল। এমনই ডিভাইস এবার তৈরি করে তাক লাগালেন খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকরা যাতে টেকনিশিয়ানও লাগবে না। দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য পোর্টেবল র্যাপিড ডায়াগনস্টিক ডিভাইস তৈরি করেছে আইআইটি।
সরকারি বাদে বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনার পরীক্ষা করাতে অনেক টাকা গুনতে হয় এবং ঝক্কিও অনেক। সেই সমস্যার নিরসন ঘটাতে খড়গপুর আইআইটি-র ডিভাইস উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র ৪০০ টাকারও কমে করোনা পরীক্ষা করা যাবে। এমনকি, পরীক্ষার ফল স্মার্টফোনেই জানা যাবে। খড়গপুর আইআইটি সূত্রে খবর, কোনওরকম ত্রুটি ছাড়াই করোনা পরীক্ষার ফল জানাবে এই ডিভাইস।
জানা যাচ্ছে, খড়গপুর আইআইটি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্ত্তী ও ভাইরোলজিস্ট ড. অরিন্দম মণ্ডলের ভাবনা থেকেই এসেছে এই ডিভাইস। এ প্রসঙ্গে ড. অরিন্দম মণ্ডল বলেন, ”এই অভিনব ডিভাইসটি শুধু কোভিড ১৯ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে – তা নয়, যে কোনও আরএনএ ভাইরাসও শনাক্ত করতেও পারবে”।
গত এপ্রিলের শেষ দিকে এই প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা মেলে। কোভিড সংক্রান্ত গবেষণার জন্য একটি তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক ভি কে তিওয়ারি। মানুষ এখন আসার আলোয় দিন গুনছে যে কবে বেশি বেশি পরিমানে টেস্ট করার মাধ্যমে রোগীকে সনাক্ত করে দ্রুত আরোগ্যের ব্যবস্থা করা হবে।
–~০০০XX০০০~–