ভাই, শেষের কবিতা আমরা দুজনে, না হয়, বলি আরো কিছু কথা! আমার মনে হয় তোমার ও তাতে আগ্রহ আছে আছে প্রশ্রয়! আরো কিছু কথার প্রবর্তনা সেই সাহসে ই! অবশ্য, এ আমার একার প্রত্যয়! তোমার মনের কি ভাব সত্যিকার তা তো জানা নেই তাই, সঙ্গী রয়েছে কিছু সংশয়! তবু, বলি এটা তো জানা সকলেরই টাকায় বাড়ে টাকা, জলে বাড়ে জল কথায় বাড়ে কথা, এবং সেটাই বাস্তব৷ বাস্তবের খোলা মাঠ সে তো ফাঁকা এক শূন্য স্থান তুমি আমি সে, সকলেই দেখছিও তাই! কিন্তু তা তো সত্যি নয়৷ প্রকৃতির এমনই বেয়াড়া খেয়াল বরদাস্ত করে না সে কোন শূন্য তা ই! কবি তাই প্রকৃতির প্রিয় সন্তান৷ কবি, যে কোন, কল্পনায় ভরায় সে ফাঁক অনায়াসে, কারণ সে দার্শনিক! বিজ্ঞান যেখানে শেষ হয় সে শুরু করে সেখান থেকেই! রবি ঠাকুর আর নজরুল বরিষ্ঠ ও কনিষ্ঠ, দুই কবি বাংলা ও বাঙালীর গর্বের স্থান, যেথা রয়েছেন উপস্থিত দুজনেই যুগল তাঁদের দর্শনে যে কোন মননে কল্পনা আসবেই! হয়েছে ও তাই৷ এতে দোষের কিছু নাই! সত্য না মিথ্যা, সে বিচার নাই বা করলাম! প্রশ্ন উঠবেই, তবে খুঁচিয়ে ঘা করা কেন!? উত্তর টা কি দিতে হবেই!? ভাই! কথকতা! সে তো দৃশ্যের অদৃশ্য নয়ন, ব্যক্ত অনুভব! শ্রোতাও, যে কোন ব্যাঞ্জনা তার নিয়ে থাকে, নেয় ও, যে যতটুকু পারে, সম্ভব-অসম্ভবে৷ দেখো, তোমার আমার মাঝে অচেনা যে নিশ্চিৎ জগৎ উভয়ের ই দিলো তাদের মিলিয়ে কত না সহজেই! ভেদাভেদ মাঝে রচণা সে অনন্য সম্পাদনা কল্পনার! যদি একটু বিবেচনা করো, করে দেখো হয়তো তা অকিঞ্চিৎকর হয়তো কেন, অকিঞ্চিৎকর ই তবু, তোমার আমার মাঝে কিছু কথা, কিছু অনুভব, ভাব বিনিময়, এই যে হলো না খুঁচিয়ে দিলে, তুমিই বলো না তা কি হতো!? দুই কবি— হত-চিত্ত ব্যথিত হৃদয় অনুভব চিন্তন-চিত্র সে এক৷ শমী, ছিলো রবি কবির প্রতিচ্ছবি সে নেই, চলে গেছে অচেনার দেশে বুলবুল, নজরুলের প্রথম সন্তান সেও নেই, যে হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে৷ এমনই যে প্রেক্ষিত, সে অঙ্কন, কিছু কথা যদি উহ্য ই রাখে, তা থাক না, না হয়! তা বুঝে নিতে হয়৷ কিছু কথা তাকে জুগিয়ে দিতে হয়৷ হবে ও সম্ভব, অনুভব, ক্ষেত্র কল্পনার, যদি উপস্থিত থাকে৷ শক্তি কল্পনার যেথা অপ্রতুল শূন্য সে অঙ্গন, সেথায় নয়ন কী করে বা বলো, করবে বহন অতিরিক্ত ভার, সেই নিভৃত বেদনার! তা কি সম্ভব!?