বিড়াল
সুপর্ণা দত্ত
চতুস্পদে চলাফেরা স্তন্যপায়ী প্রাণী,
বাঘের মাসী বলে তাকে আমরা সবাই জানি।
ফেলিড গোত্রীয় ছোট্ট প্রাণী একমাত্র গৃহপালিত,
বাঘ,প্যান্থার ইত্যাদিও এই গোত্রের অধীনস্থ।
শরীরের গঠন বাঘের মত আকৃতিতে ছোট,
তাই তো তারা ‘বাঘের মাসী’ নামে পরিচিত।
সাদা,কালো,বাদামী,ধূসর নানা রঙের আছে,
ক্ষুদ্রতম সদস্য হলেও খুব প্রিয় সে মানুষের কাছে।
সারা শরীর ঘন এবং নরম লোমে ঢাকা
তীক্ষ্ণ দাঁত আর নখও আছে,’ৎ’ যায় লেজে দেখা।
চতুর এবং মজার ভারী ব্যবহারেই বোঝা যায়,
মাছ ও দুধ-ভাত খুবই প্রিয় মজা করে খায়।
রাতের আঁধারে দৃষ্টি প্রখর ধরে ইঁদুর খুঁজেই,
হালকা এবং নরম শরীর লাগায় অতি সহজেই।
বড্ড অলস সারাদিনে যেখানে-সেখানে ঘুমান,
মিষ্টি মিষ্টি ‘ম্যাও’ ডাকেতে সবার মনটা ভোলান।
ঘ্রাণশক্তি প্রবল যে তার শিকার করে ভালো
সকল রঙের মধ্যে সে দেখে বাদামী এবং কালো।
মাংসাশী প্রাণী হলেও সে মালিককে ভালবাসে,
মীশরীয়রাও দেবতা রূপে বিড়ালকে পূজা করে আসে।
বিড়ালের সাথে মানুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে,
স্বভাব সামঞ্জস্য থেকেই কিছু বাগধারাও আছে।
ভন্ড কিছু মানুষ আছে কাজেকর্মে থাকে সাধুবেশী,
তাই তো তাকে নামটি দিল ‘বিড়াল তপস্বী’।
এমন মানুষ আছে যারা কপটাচারীতে পটু,
বোকা সেজে থাকে যেন ‘ভিজে বিড়াল’টির মত।
কিছুই না বোঝার ভান করে তারা অতি চালাক হয়ে,
‘ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না’-কথা লোকে কয়।
প্রভাবশালী নয় সে কাজ এমন কিছু কাজ বোঝাতে
সবাই তাকে আখ্যা দেয় ‘যজ্ঞের বিড়াল’ প্রবাদ বাক্যে।
যখন কোনো রহস্যের সহজেই সমাধান হয়ে যায়,
‘থলের থেকে বিড়াল বেড়িয়ে এলো’-কথাটা বলা হয়।
এমন কিছু প্রবাদ বাক্য বা বাগধারা গেছে রেখে,
বিড়াল এবং মানুষের কাজের সামঞ্জস্য দেখে।
বর্তমানে বিড়াল শুধু ইঁদুর ধরার জন্য নয়,
ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিড়াল পোষা হয়।
—oooXXooo—