কে তুমি
স্বপ্না নাথ
বিশাল আঁচলখানি বিছায়ে ধরনী পরে,
রেখেছো ঢাকি যুগে যুগে ধারনের তরে, পালিছ হ্নদয় ভরে,
সংগোপনে অন্তরে অন্তরে,
সোহাগ করিছ ছোট্ট প্রানেরে,
কে তুমি অনন্ত সংসারে?
কালে কালে কত রনে,
গহীন গভীর বনে,
কামনার অন্বেষনে,
খুঁজে ফেরে জনে জনে,
নিশীথিনী কাছে টানে,
ক্ষণিকের বাসা বোনে,
কে তুমি, কেউ কি জানে?
মধু মাসে সুবর্ণ প্রাতে,
ফাগুন আগুন জ্বালে রং বর্ষাতে,
কবিতার সবুজ পাতা সেথায় আসন পাতে,
স্বর্গ রচিত হয় মোহময় রাতে,
কে তুমি সন্ধ্যায়, প্রভাতে?
যদি পিছু নয়ন একবার,
সহ মরনের লেলিহান চিতার,
বাদ্যরবে ঢেকে যায় আর্ত হাহাকার,
ফুলো সাজে সজ্জিত মৃত্যু বাসর,
ধরিত্রী দগ্ধ হয় ধরণীর পর,
কে তুমি? ধরণের আধার?
মোদির রাতের ঘন অন্ধকারে,
চির বাসনার গোপনতার দ্বারে,
মধু লোভী মত্ত মধু করে,
বাসনার ভান্ড ভরে ঘরের বাইরে,
কেউ তাকে ভরে না কোন উপাচারে,,
তবু তার দ্বারের উপলখণ্ডেরে,
হরিতে হয় দশভূজার তরে,
কে তুমি আনতশিরে?
সৃজনের নাভির বন্ধন,
প্রাণের হৃদয় স্পন্দন,
সততা করিছো দান বক্ষের অমৃত ক্ষরন,
সংসারে প্রানপাত জীবন মরণ,
কে তুমি? সৃষ্টির দান!
তবে প্রণয়, তব প্রাণ,
তব অকুন্ঠ আত্মাভিমান,
জঠরের শত শত ভ্রূণ,
কঠিন আঘাত যতই হান,
রক্ত বীজের মত ফুটবে ধন,
সে কন্যা, সে প্রিয়া,সে জননী, সে নারী চিরন্তন।
—oooXXooo—