বসন্ত বাতাস
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
সমুদ্র ফেনা গন্ধের খোঁজে
মনিকর্ণিকা ঘাটে
যখন বটফল ভাসিয়েছিলাম।
বসন্ত বাতাস, প্রেমিকের ঠোঁটে
কীটসের হাইপেরিন।
কীটনাশক, করাতের শব্দ প্রেমিকগাঁথা
পোস্টমাষ্টার বাবুর তৃষ্ণা জলে বহে।
ঝাঁকড়া চুলের গাছটা
একা একা দাঁড়িয়ে, দাঁড়িয়ে দাঁড়কাক।
চড়াই পাখির পাখনার সামান্যতম মত ,
আমারো স্তনের রঙ; কমলালেবু নরম।
খয়ের খয়েরী বলেই বধ করো।
বালিকা বধূর জেহাদ, ঈর্ষা
গনগনে আঁচ।
প্রবল ইচ্ছে আমার মাংস, রস, রক্ত
পান করবে।
ভেঙে গেছে তার মহামন্ডপ।
চড়াইয়ের বোধহয় বেঁচে থাকার অধিকার
অধিকাংশই বন্ধক।
আগুন লাগে নি তার পাখায়, প্রকৃতি দিয়েছে আশ্চর্য আশ্রয় আশ্রম।
কবি বর, গোখরো সাপের নাভিতে সাপ্তাহিক
ঈর্ষান্বিত বালিকা বধূর মৃত্যু ছোবল চোখে চোখ
মিলিয়ে
কাঁদানী গ্যাস দিয়ে আমার
হাসিমুখটি কে বিদ্ধ করো।
ঝরঝর করে কাঁদছি না,
যীশু জড়িয়ে আছে হৃদয়ে, প্রেমে।
দেশকে ভালোবাসি বলেই আজ দেশদ্রোহী।
লেহন করো, প্রিয় শালবন।
তোমার চুম্বন চিরদিন
রাতের ট্রেনে দেশনায়কের মত।
ভেসে যাওয়া দিগ্বিদিক চিরদিন ই।
অনেক অপ্সরী দেখেছ;
ঈশ্বর খুঁজছ কোন জঙলা কোনে।
কোন শিমূল তুলোয়, লাল চুরির অপরাহ্ন
গমকে।
মন্দ কি, কাঠের পুতুল খুঁজতে
হল না।
পুত্তলিকা পোড়াবে?
দিগন্তরেখার ও পাশে
নীলের প্লাবন যে ক্ষত বুকে
অতিবেগুনী হাতছানি ছিল
প্রেমিকের হৃদয় ছিল না। হারিয়ে যাওয়া তার প্রেমিকার
ক্যাটস আই ও কাকাতুয়া পালক টুকু
যাপন করো তুমি ও তুমুল বর্ষায়।
—oooXXooo—