আলোর উৎসব
সুপর্ণা দত্ত
কালী পুজোর রাতটা
ঘন আন্ধকারে ঢাকা,
মাটি দিয়ে একশো পিদিম
তৈরি করে রাখা।
সারাটা দিন বায়না করে
কান্না দিল জুড়ে,
খোকাবাবু বাবার কাছে
বাজি কেনবার তরে।
কালীপটকা, দোদোমা আর
চকলেট বাজি চাই,
রকেট বাজি, আলুবোম আর
চটপটি কিনবে ভাই।
শুনেই বাবা বললো তাকে
“খোকন তুমি শোনো,
কোনো রকম শব্দ বাজি
জ্বালাবে না কখনও”।
শব্দ বাজি শব্দ দূষণ
শুধুই বাড়ায় ভবে,
বাচ্চা বুড়ো রোগী সবাই
আতঙ্কিত হবে।
বাজির কারণে হচ্ছে ক্ষতি
হার্ট, ফুসফুস,কান,
বাজির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগে
হচ্ছে ওষ্ঠাগত প্রাণ।
শব্দ বাজি বন্ধ করে
আলোর বাজি জ্বালো,
আলো দিয়ে বিশ্ব সাজাও
ঘুচবে আঁধার কালো।
আতস বাজি তারাবাতি
মশাল ফানুস চরকা,
ফুলঝুরি আর তুবড়ি পোড়ও
পুড়িও না পটকা।
আলো যেথায় পৌঁছায় না
জীবন কাটে দুখে,
তাদেরও সাথে নিয়েই দেখো
ফুটবে হাসি মুখে।
সন্ধ্যাবেলায় সুয্যি মামা
যেই না পাটে গেল,
সবাই মিলে পিদিমগুলো
তেল-সলতে দিল।
আলোর ধারা ছড়িয়ে দিল
একশো প্রদীপ জ্বেলে,
আনন্দ ধারা বইয়ে দিল
একসাথে সবাই মিলে।
কালী পুজোর উৎসবে আজ
দীপের আলো জ্বাললে,
মনের কালো ঘুচবে জেনো
শ্যামাঙ্গিনী আসলে।