ফেরিওয়ালা
ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়
পাকারাস্তা থেকে ঢালাই রাস্তার উপর দাঁড়াল ভোলা। সেই সকালে মুড়ি গুড় খেয়ে এসেছে।আর এখন দুপুর দুটো ।পেটে যেন ছুঁচোর কেত্তন চলছে।কিন্তু কী বা খাবে এখন। মাথার বোঝাটা নামালো আশুত গাছটার নীচে।মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল একটা শান্তির আওয়াজ।
মনে মনে বললে “গরীব গুর্বোদের জন্য ভগমান ঠিক ব্যবস্থা করে রেখেছে।”
পকেটে বাতাসা বার করে মুখে দিলে।সামনেই সরকারি টিউকল।ঢকঢক করে জল খেয়ে গামছা বিছিয়ে শুয়ে পড়ল।
এই সবে কৈশোরের গন্ডী পেরিয়েছে ভোলা।ওর মা খ্যান্ত পাঁচবাড়ির ঠিকে ঝি।ওই করেই তো ভোলাকে মানুষ করলে।বাপটা ছিল হদ্দ কুঁড়ে।ওর মায়ের বিয়ের সময় কানের দুল,আংটি আর পলাবাঁধানো পেয়েছিল। সব ঘুচিয়েছে ওর বাপ।তার উপরে ঘরকুনো ব্যাটাছেলে।ওর মা বলতো কুঁড়েশুল।
বাপের পূর্বপুরুষ ছিল কোন গৈলা দেশের মানুষ। কতদিন ঠাকুমার মুখে শুনেছে দাঙ্গার সময় তারা পালিয়ে এসেছিল। এই দেশটাকে ভিনদেশ বলে ঠাগমা।ভোলা অবাক হত।পোড়াবাজারে ভোলার মামাবাড়ি।খ্যান্ত ছিল মা মরা মেয়ে।সৎ মা তার বাপের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছিল। চাল নেই,চুলো নেই। তার উপরে কুটের হদ্দ।
চাষীর ঘরের মেয়ে খ্যান্ত কোনোদিন পেটের জ্বালা বোঝেনি।কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারল একটা আস্ত নিষ্কর্মাকে বিয়ে করেছে সে।নিজের বাড়ি নয়।ভাড়া বাড়ি।ভাড়া মেটাতে আস্তে আস্তে গয়নাগুলো বিক্রি হয়ে গেল। তারপর যখন বুঝতে পারল তার শরীরে আর একটা প্রাণ জন্ম নিয়েছে তখন ভেবে আকুল হয়ে কী করবে বুঝতেই পারল না।ভোলানাথের মন্দিরে গিয়ে মাথা কুটলো।বললে “ঠাকুর। আমাকে একটা ছেলে দিও।লেখাপড়া যদি নাও শেখে হাতে পায়ে বড়ো তো হবে।তখন আমার দুখের দিন শেষ হবে।”
গাছ তলায় তন্দ্রা এসেছিল ভোলার।পুরোনো দিনের কথাগুলো ওকে বড়ো ভাবায়।কতদিন ভাবে জনমদুখিনী মাকে শান্তি আর সুখে রাখবে সে।কারো বাড়ি কাজ করবে না মা।ধপধপে শাড়ি পরে দাওয়ায় বসে থাকবে।বাড়ি ফিরলেই বলবে “ভোলা।এলি বাপ আমার। একটু জিরো বাপধন।”এসব কথা চিন্তা করলে ভোলানাথের চোখে জল আসে।
লতা কখন ভোলানাথের পাশে এসে বসেছে ও খেয়াল করে নি। ভীষন গায়ে পড়া স্বভাব। মেয়েদের পোশাক ফেরি করে লতা।কথা বার্তাতে কেতাদুরস্ত ভাব।এই এলাকার সব ফেরিওয়ালাই লতা বলতে অজ্ঞান। শুধু ভোলানাথের ভালো লাগে না লতার আবভাব।পাকার হদ্দ।
হঠাৎই গায়ে ঠ্যালা দিয়ে লতা বললে “আমার উপরে তোমার এত রিষ ক্যানে আমি বুঝি না।হাঁড়ি পাতিল বেচে কটা টেকা পাও শুনি।ওতে ভবিষ্যতের ভাবনা কী শুনি?ওই আমিন মোল্লার দামে এনে কেজিতে কত লাভ রাখো”?
ভোলা ইতস্তত করে।এই মেয়েটার কথাগুলো মিথ্যে নয়।তবে ওর ফাঁদে পা না দেওয়াই ভালো।এখনই ঝামেলা লাগবে।সবাই বলবে “কী রে ভোলানাথ!ভালোই ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস দেখছি”।
লতা এবার অবাক হয়ে যায়।সত্যিই এই ভোলাটা যেন কী একটা।ও কত ভালো চায়।ভোলাভালা ছেলেটার প্রতি ওর কত মায়া।ওই তো সুভাষ। কী শয়তান!কী শয়তান! পাড়ায় পাড়ায় ছড়া কাটে “টিন ভাঙা লুহা ভাঙা।”আবার লতার সামনে পোঁটলা খুলে টাকা গোনে।দেখাতে চায় কত টাকার মালিক। একদিন তো লতাকে হাত ধরে টেনেছিল। বলেছিল “তুর অত দেমাক কীসে?কুন দিকে তুর মন? ইতি উতি চাইবি তো মেরে হাপিস করে দেবো”।
লতা মনে মনে হেসেছিল।আহা!ভালোবাসার মানুষ খুন করবে।ওকে জল্লাদ ছাড়া আর কী বলবে? এই ভোলাটা আবার সবার থেকেই আলাদা।চোখ দুটো ঢুলুঢুলু।একমাথা কোঁচকানো চুল।কতদিন স্বপ্ন দেখেছে লতা।ভোলার সাথে গেছে চন্ডীপুরের মেলায়।নাগরদোলাতে দুলেছে দুজন।আর ভোলাটা যেন কী!ও কী লতার চোখের ইশারাও বোঝে না!কান্না পায় লতার।তবুও হাল ছাড়বে না ও।কিছুতেই না।
ভোলানাথের বাড়ি ফিরতে দেরী হল আজ।ঠাগমা বছর দুই হল গত হয়েছে।আর বাপ দায়িত্ব নেবে না বলে কবেই চলে গেছে।কদিন পাড়ায় পাড়ায় ঘুঘনি বেচেছিল।খ্যান্ত বানিয়ে দিত।কিন্তু অলসের কাজের হাত না থাকলেও অজুহাত প্রচুর। সেটাও বন্ধ করে দিলে।ভোলানাথের নিজের চোখের দেখা।মা কিছু বলতে গেলেই ঠ্যাঙাতো মাকে।শেষে একদিন পঞ্চায়েতে নালিশ করল মা।
সেই ছোট্ট থেকেই ভোলা বুঝে গেছে পেটের জ্বালা বড় জ্বালা।মা লোকের বাড়ি এঁটো বাসন মাজে।কাপড় কাচে।ঘর মোছে।ভোলা বাইরে রকে বসে খেলা করে।কারো দয়া হলে দুটো বিস্কুট কিংবা শুকনো মুড়ি দেয় ।পাড়া প্রতিবেশীরা মাকে বলে “সোয়ামীকে ফিইরে আন খ্যান্ত। সতীনারীর পতিতেই গতি”।
এসব ভোলানাথের নিজের কানে শোনা।
সন্ধের ঘনাঘনি।তবুও তুলসীতলায় পিদিম জ্বলেনি।ভোলানাথের চিন্তা বাড়লো ।বাড়িতে ঢুকলে মায়ের গায়ের যে গন্ধটা ও রোজ পায় সেটাও নেই ।কী যে হল।তবে কি মা এখনও ফেরে নি।চিৎকার করে ডাকতে লাগল “মাআআআআআ।মা গোওওওওও”।
আমি আছি তুমি আছো কিন্তু মা নেই। ভোলানাথের দেরী দেখে মা কি তবে রাস্তার দিকে গেল?
দরজাতে তালা দেওয়া।এখন এই হাঁড়ি কড়া ডেচকি কোথায় যে রাখবে ।এগুলোর কত দাম ।একটা চুরি গেলেই লাবের গুড় পিঁপড়েতে খাবে।এইসব সাতপাঁচ ভাবছে ভোলা ঠিক তখনই কেষ্টর মা এসে পড়ে।বলে “ভোলা।দোরের চাবি আমার কাছে দিয়ে গেছে তুর মা।বললে ভোলানাথ এলে বলিস এসস্টেশনে যেন যায়”।
ভোলানাথের আশ্চর্য হবার আর কী বাকি থাকে।বলে “এসটেশনে ক্যানে গো খুড়ি।এই ভরসন্ধে বেলা মায়ের কী মাথাটা গেছে”।
কেষ্টর মা বললে “কী জানি বাপু।কিছুতেই কিছু বললে না ভেঙেভুঙে ।হাঁপাতে হাঁপাতে বললে “কেষ্টর মা ।তুকে বাগ্যতা করি গো ।চাবিগাছ ভোলাকে দিস।আর মালসামান রেখে যেন এসটেশনে আসে এই পজজিন্তি বাপ আমার। আর কিছুটি জানি নে।”
ভোলানাথের মগজে কী যে খেলে গেল। এক মুহূর্ত দেরি নয়।দোর খুলে হাঁড়ি পাতিল রেখে এক দৌড় দিল।কেষ্টর মা হাঁই হাঁই করে উঠল।বললে “আস্তে যা।পড়ে যাবি বাপ”।
স্টেশনে এসে ভোলানাথ কী করবে ভেবেই পেলো না।এরকম পরিস্থিতির শিকার হবে সে এটা আগে ভাবেই নি।টিকিট কাউন্টার এর সাসনে একটা জটলা ।ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখে তার মা একটা লোক এর মৃতদেহ আগলে বসে আছে ।চোখ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল।কে একজন বললে “এই বেওয়ারিশ লোকটার আবার সংসার আছে!”
মায়ের চোখের জল ভোলানাথকে স্তম্ভিত করে দিল ।বাপটা মরেছে ।কিন্তু তার মা অমন করে কাঁদছে কেন?বেঁচে থাকতে তো কোনো সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দেয় নি লোকটা ।মা একাই সবদিক সামলেছে ।তবুও এত কান্না কেন এল মায়ের!
সৎকার হয়ে গেলে কেষ্টর মা খৈ আর সন্দেশ কিনে দিয়ে গেল ।রাতের অন্ধকারে ছেঁড়া কম্বলে শুয়ে শিশুর মতো কেঁদে উঠল ভোলানাথ।মায়ের চোখের জল দেখলে কোন সন্তান স্থির থাকতে পারে।আজ মাকে তার দেবী মনে হল।দশভূজা দেবীর সাথে কোনো তফাত নেই মায়ের। কত ভালোবেসেছে বাপটাকে।কিন্তু এসবের মধ্যেই লতার মুখ ভোলানাথের হৃদয়ে ভেসে উঠল।মনে হল লতাকে সে দুঃখ দেবে না।ভোলানাথের জন্য লতার কত চিন্তা ভালোবাসার জন্য সে সবকিছুই করবে ।ঈশ্বর এর এই দান সে কিছুতেই পায়ে ঠেলবে না ।
বেশ কিছুদিন ফেরি করতে বের হয় নি ভোলা ।বাপের কাজ সেরে যেদিন বের হল সেদিন লতা ছুট্টে এল ওর কাছে ।কটা দিন লতা আকুলি বিকুলি করেছে ।কেউ তাকে সঠিক খবর দেয় নি।আজ ভোলানাথের সাথে দেখা হতেই দুজনের মনেই একটা নতুন মুগ্ধতার ঝলক ।আজ ওদের তন্ময় ভাব ।গাছতলায় ভোলানাথের গা ঘেঁষে বসে লতা ।একটা ভালোলাগার আবেশ কাজ করে ভোলানাথের মধ্যে।মনে হয় খুব মিষ্টি এই মেয়েটার মুখ ।লতার কপালের চুলগুলো আলতো করে ছুঁয়ে দেয় ।এ প্রেম স্বর্গীয়।কোনও কিছুর জন্য এই প্রেম কে অবহেলার সাধ্য নেই ভোলানাথের ।লতাকে ছাড়া তার বাকী জীবন বৃথা।এই চোখের ভাষা ভোলানাথের একান্ত নিজস্ব ।অন্য কারো বুকে সে লতাকে যেতেই দেবে না।
লতাকে অনেক দিন পর সুভাষ দেখে এগিয়ে এলো।চুলের ছাঁট দিয়েছে যেন সিনেমার নায়ক।ঠ্যালাগাড়ি দাঁড় করিয়ে বিড়ি ধরালে।বললে “তারপর।লতাসুন্দরী ।কী ব্যাপার। আজকাল কোন ঘাটে নোঙর বাঁধছো শুনি।আর কাটা শাড়ির ব্যাওসা কেমন চলছে?”
লতার হাসি ধরে না।চোখ বেঁকিয়ে বললে “একশ টেকার শাড়ি কিনে কত লাভ রাখতে পারি।তার উপরে সব ধারের খদ্দের। আজ নগদা কাল ধার/ধারের পায়ে নমস্কার।নিকুচি দু চার আনার ব্যাওসার।ভাবছি পরের মাস থেঙে ধূপকাঠির ব্যাওসাতে লাগব।প্যাট ভরছে না।”
একদৃষ্টে চেয়ে থাকে সুভাষ। বললে “একটা কাম করবি।কুলের আচার বানা।”
“কুলের আচার!কেনে।ক’পয়সা আয় হবে শুনি?কে কিনবে? ভদ্দরনোকরা আমার থেঙে কেনে না কিছুই। গরীবের ঘরে কজনা কিনবে ছাই”।
সুভাষ বলে “সাদে কি কৈ তুর ঘটে কিছুই নাই।কুলের আচার আমাকে বান্নে দিবি।টিন ভাঙা লুহা ভাঙা কাঁসা পিতল ভাঙ্গার বদলে কুলের আচার। ছোটছেলেদের ঠকানো কত সুজা।করে দিবি।মালসামান আমার। কেজি পতি কুড়ি টেকা পাবি তুর সাইট বিজনেজ।অন্য অনেক লোক আছে।তবে তুর পতি আমার টান আগাগুড়া”।
লতা হেসে গড়িয়ে পড়ে।বলে “কেজিতে পঁচিশ করো গো।”
সুভাষ বলে “আমার এক কথা।কাজের ফাঁকে করবি।কাল মালসামান নে নিবি”।
সুভাষ চলে গেলে আনন্দের জোয়ারে ভাসল লতা।মনে মনে হিসাব করতে লাগল কত টেকা মাসে হবে।সত্যিই সুভাষ টার মনটা খুব ভালো।ফাগুন মাস।এখন বেলা তেমন বাড়ে নি।গাছতলায় এসে দেখল ভোলানাথ বসে আছে।বললে “কী রে লতা।কী বিড়বিড় করছিলি?”
লতার ব্যবসায়ী চোখ।বললে “তুর কথাই তো ভাবছি।দোলের মেলায় চন্ডীপুর নে যাবি গো।আমার কতদিনের ইচ্ছা।যাবি।বল!
ভোলানাথের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে।খেঁকিয়ে ওঠে ।ওকে কামটের মতো লাগে।লতার ভয় হয়।চোখে জল আসে।ভোলানাথ বলে চলে “আমার থেঙে সুভাষ অনেক বড়লোক। ওর সাথেই যা।তুর তো প্রচুর টেকা চাই ।ও মেটাতে পারবে।”
চমকে ওঠে লতা।কে এটা।ওর চেনা ভোলানাথের এমন রূপ তো ও কখনও দেখে নি।
লতা কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল।অভিমানে তার ঠোঁট দুটো কেঁপে উঠল।একবার আড়চোখে ভোলানাথের দিকে তাকিয়ে দৌড়ে চলে গেল। ভোলানাথের বুঝতে বাকি রইল না আজ বড় আঘাত করে ফেলেছে।হাতটা একবার বাড়ালো লতার দিকে।কিন্তু লতা আর ফিরেও তাকাল না।ভিতরটা দুমড়ে মুচকে গেল যেন ভোলানাথের। হাঁড়ি পাতিল নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিল ভোলা।
রাতে ভোলানাথের ঘুম নেই। কেন সুভাষ এর সাথে লতার কথা বলা সে সহ্য করতে পারে না!লতার জন্য সে কী করেছে ।দুটো পয়সার জন্য দিনান্ত পরিশ্রম করে মেয়েটা।তাকে ভালোবাসে।কদিন আগেও বলেছিল “তুর নতুন ব্যাওসা লাগবে।চল দুজনা ভগমানপুর যাই ।উখানে চুলের বিজনেজে অনেক টেকা।আমি নিজে দেখে এয়েছি”।
ভোলানাথ খুব অবাক হয়েছিল। এমন ব্যাওসা ও বাপের জন্মে শোনেনি।বলেছিল “তুই এত খপর কুতা থেঙে পাস বলতো?”
খিলখিল করে হেসে উঠেছিল লতা ।বলেছিল “প্যাটে খিদের বাজনা বাজে যে।রাখতে হয় ।পাকা চুল আড়াই হাজার টেকা কেজি ।যেমন কুয়ালিটি তেমন দাম।অনেক লাভ।শুদু তাই নয়।ওই চুল ছাইরে শ্যাম্পু করে দিলে আরও টেকা”।
ভোলানাথের এখন মনে হচ্ছে প্রস্তাব টা তো ভালোই।না না।অস্থির হচ্ছে ভোলা।লতার সাথে দেখা করতেই হবে।কিছুতেই লতাকে দুঃখ দেবে না ।লতার জন্য ও যা খুশি করতে পারবে ও।ওর সারা মনে শুধুই লতা।ভোরের আলো ফুটতে যা দেরি।ভোলা ছুটল লতার কাছে।মা তখনও মাটির দুয়ারে ন্যাতা দিচ্ছে।খনখন করে উঠল “কোথা যাস?ও বাবা ভোলা।চা মুড়ি খে যা!”
আর ভোলা ছুটছে।লতার বাড়ি চন্ডীপুরের কাছেই।বেশ কিছুটা যেতেই একটা বচসা কানে এল।এগিয়ে এল ভোলানাথ।কিন্তু ভোলানাথের এখন রুদ্ররূপ ।কথা গুলো কানে আসছে ভোলানাথের। লতা চিৎকার করে বলছে “ছেড়ে দে জানোয়ার ।পয়সার লোভ দেখিয়ে মেয়েমানুষের গায়ে হাত দিচ্ছিস।”
সুভাষের মুখে শয়তানের হাসি।সাথে মদের গন্ধ। একটু একটু করে এগোচ্ছে সুভাষ। কিন্তু পিছন থেকে মাথাতে নেমে এল লাঠির বাড়ি।কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ল সুভাষ। রক্তের বন্যা বইছে যেন।লতা ছুটে আসে ভোলানাথের কাছে।বললে “চলো।এখনই আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে।
ভোলানাথ লতার হাতটা চেপে ধরল।বলল “চল।ফেরিওয়ালার জীবন।আবার নতুন থানে নতুন ব্যাওসার খোঁজ করতে হবে।”
–::(সমাপ্ত)::–