মহানুভবতা জীবনের লেনদেন!
কার্বন শুষে যোগায় অক্সিজেন!!
প্রেমাঙ্কুর মালাকার
“বন্ধু আমাকে কেটোনা তোমরা,
আমি জীবন্ত প্রান!”
জগদীশ বসু বিশ্ব সভায়,
দিয়েছেন সে প্রমাণ!
গাছে প্রাণ আছে প্রমাণ করেন,
যন্ত্রে বৈজ্ঞানিক-
আছে অনুভূতি! দুনিয়ার বুকে,
খুলে দেন নয়া দিক!
লজ্জাবতীর লতা কী দেখেছো?
বুকে কতো অনুভব;
আলতো আঙুলে পরশেই পাতা,
নুয়ে পড়ে ঢলে সব!
গাছ ফুল দেয় গাছ ফল দেয়,
গাছ দেয় প্রাণবায়ু –
তথাপি মানুষ অকারণে কাড়ে,
বৃক্ষের পরমায়ু!
গাছের সঙ্গে পশুপাখিদের,
ভালোবাসা শাশ্বত ;
গাছের বংশ বিস্তারে করে,
সাহায্য অবিরত!
মরিশাসে ছিলো কত ‘ডো ডো’ পাখি,
মানুষের লোভে শেষ-
‘বোরোসাস’ ফল খেতো ‘ডো ডো’ পাখি
গাছ জন্মাতো বেশ!
লোপ পেয়ে গেছে মরিশাস থেকে,
সব ‘ডো ডো’ গেছে মারা ;
‘ডো ডো’ মল থেকে জন্ম নেয়না,
নয়া ‘বোরোসাস’ চারা!
গাছে গাছে কতো টিনের স্টিকার,
মারছো পেরেক ঠুকে-
ভাবো তিলে তিলে কতো যন্ত্রনা!
দিচ্ছো গাছের বুকে!
ভিআইপি রোডে শিরীষের গাছ,
তিলে তিলে কারা মারে?
কাঠের ব্যাপারী গাছের কাণ্ডে,
তুঁতে ঠুসে বারে বারে!
তথাপি বৃক্ষ নীরবে সইছে,
নেয়না তো প্রতিশোধ –
দধীচি মুনির মতো হাড় দিয়ে,
জাগতিক ঋণ শোধ!
পাঞ্জাবে দেখি ক্ষেতে আল ভরা,
সারি সারি ‘পপলার’ ;
হাতছানি দিয়ে বৃষ্টি বাদল,
ডেকে আনে বার বার!
গাছ দুনিয়ার ‘কার্বন’ শুষে,
যোগায় ‘অক্সিজেন’-
এটাই গাছের মহানুভবতা,
জীবনের লেনদেন!
—oooXXooo—