জীবনে তুমি অনেক কিছু পেয়েছ। তোমার, তোমাদের সুখে সুখী আমি। ঈর্ষা তো, কোনোদিন ই ছিল না মনে। তাহলে অন্ধকারের দিকে ঝোঁকো কেন? কেনই বা আমার দিকে? দুঃখ গাছ মাধবীলতার দিকে। আমার শূন্য থেকে পথ শুরু, শূন্যেই শেষ। নীল যমুনায়, ভেসে যেতে যেতে অতি সামান্য খড়কুটো। অতি সামান্য খড়কুটো, আমাদের ঠোঁটে। মরুভূমির পথে হাঁটতে হাঁটতে এতটুকু আশ্রয় ” শালবনী ঘরে ফেরা ” স্থল। বিবিধ স্বর্নালঙ্কার, সুসজ্জিত গৃহ, মায়া শাড়ি দিয়ে সাজিয়ে তুমি যখন সরস্বতী নদীর সাথে বিবাহ বাসরে, আমার কি চোখ ছলছল করেছে? চেয়েছি, আরো কাছাকাছি থাকো নার্গিস ফুলে ও ফলে। ভালোবাসা, বন্ধুত্বের মানেটাই তুমি জানো না। বলেছিলাম যে, জেগে থাক শৈশবের নিষ্পাপ নক্ষত্র। আমার এ প্রার্থনা, প্রার্থনাঘরে পৌঁছেছে। সৌভাগ্যে তুমি ও নতশির হতে শেখো এবার, ঈশ্বরের কাছে। বাসি রুটি অর্ধেক ভাগাভাগি করে আমাদের এই কদিন টিকে থাকার মুহূর্তে কলসির শীতল জলবিন্দু টুকুই স্বর্গ সংসার। অন্ধকারে থেকে ও আলো জ্বেলে বেড়াই মানুষের দরবারে। কারোকে আঘাত করে তার চেয়ে ও বেশি কাঁদি। আমায় কেন আঘাত হানো, ভালোবাসার মুখোস ধরে বারে বারে। আমার বাঁচার অধিকার কেন কেড়ে নিতে চাও বারে বারে। বড্ড আবেগী আমি, বড্ড গতিময়। থামি ও না আর। @ মৌসম মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী