ছাব্বিশে জানুয়ারী পালিত হয় মোদের দেশের সাধারণতন্ত্র দিবস, এদিনটির প্রতিপালনের পশ্চাতে রয়েছে অনেক ইতিহাস। প্রায় দু’শ বছর মোদের দেশ ছিলো ইংরাজ শাসনাধীন, আমরা ভারতবাসী ছিলাম তখন প্রচণ্ডভাবে পরাধীন। দীর্ঘ লড়াইয়ে ১৯৪৭ সনের ১৫ ই আগস্ট আমাদের দেশ হয়েছিল স্বাধীন, স্বাধীনতা পেলেও ছিলোনা দেশের নিজস্ব সংবিধান। তখনকার নেতৃত্ব ও গনপরিষদের সদস্যগন বুঝতে পারলেন এর গুরুত্ব, সংবিধান রচনার জন্য হলেন তারা প্রবৃত্ত। ড, ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে সংবিধান রচনার জন্য হলো কমিটি গঠন, যাদের কাজ ছিল সংবিধান রচন। তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সংবিধান হলো রচিত, ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারী তা কার্যকরী হিসাবে হলো গৃহীত। ২৬ শে জানুয়ারী দিনটির আরো আছে অতীত গাথা, ১৯৩০ সালে কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘোষিত করেছিলেন ঐ দিন ভারতের স্বাধীনতা । ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত প্রতিবছর স্বাধীনতার দিন হিসাবে পালিত হত তা। আমাদের দেশের সংবিধানে আছে পাঁচটি প্রস্তাবনা, সার্বভৌম,সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ,ধনতান্ত্রিক ও সাধারনতন্ত্রের ব্যবস্হপনা। এগুলোকে ভিত্তি করে চলছে মোদের দেশের সরকার, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অটুট রাখতে হবে সংবিধান কার্যকর। বিশ্বের মাঝে আমাদের সংবিধান সর্ববৃহৎ ভোটের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের রীতি রাখতে হবে অব্যাহত। সাধারণতন্ত্রে থাকেনা রাজ্য বা রানীর স্হান, সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন। তারাই করে দেশের সরকার গঠন, এভাবে সাধারণ মানুষ করে দেশ শাসন। আমাদের সংবিধান ও সংহতি বিনষ্ট করতে অনেক অশুভ শক্তি আছে তৎপর, যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করতে মোরা আছি বদ্ধ পরিকর। সাধারণতন্ত্র দিবসে আমাদের হোক একমাত্র অঙ্গীকার, জীবন দিয়েও রক্ষা করবো আমাদের স্বাধীকার।।।