খেলনা-বাটি গুলি
শ্রী নীলকান্ত মনি
শিশুকালে
মায়ের স্নেহের কোল
ছিলো তার যবে
একান্ত আশ্রয়
মায়ের কোলে বসে
সে খেলেছে
হেসেছে কেঁদেছে
মা সাথী ছিলো!
কখনো সে ঘুমিয়ে পড়েছে
খেলেছে দেয়ালি
বিদেহ সে সব
পূর্বপুরুষ
হয়তো বা
অন্য কেউ সে খেলার
সঙ্গী হয়েছে
যে জগৎ ছেড়ে
সদ্য সে এসেছে!
হয়তো বা একা
একাই সে এ খেলা খেলেছে!
তবে খেলনা-বাটি!?
হলেও হবে তা অন্য প্রকার!
তবে তা নিশ্চিৎ ই ছিলো!
কিছু কাল কেটে গেলে
সে যেন কখন
সে খেলার জগৎ
হারিয়েছে!
বাস্তবের নূতন জগতে
কতক পুতুল সে পেয়েছে
কেউ তা দিয়েছে
হয়তো বা
নিজেই আপন মনে
বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে
তা গড়েছে!
গড়পড়তায়
সবাই কেই দেখি
একটি জীবনে তার
এমনই ঘটেছে!
কিছু কাল আরো
এমনি করেই কেটে গেছে!
বাল্যকাল
বালক-বালিকা কাল
কিশোর-কিশোরী কাল
স্বপ্নময়
যৌবনের কাল সব কেটে গেছে
সে প্রৌঢ় হয়েছে
বৃদ্ধ কালে সে পৌঁছে দেখে
খেলনা-বাটি গুলো প্রায়
একই রয়েছে
শুধু তার ভাব-ভঙ্গিমা
রবীন্দ্র-কবিতা কি
রবীন্দ্র সঙ্গীতের মতো
জীবনের ক্ষেত্র মতো
নব কলেবর ধারণ করেছে
মাত্র অর্থ বোধে!
সে এখনো শিশু ই রয়ে গেছে!
খেলনা-বাটি গুলো
তখন যেমন ছিলো
এখনও তেমনি করে
এলোমেলো ছড়ানো-ছিটানো
রয়েছে!
এখনও হাসি কাঁদি রেগে যাই
অভিমান করি
হারানো-প্রাপ্তি কি নিরুদ্দেশ হলে
প্রিয়তম সেই
খেলনা-বাটি গুলি!
বাবা-মা, ঠাকুমা-ঠাকুরদাদার
সে সংসার ছবির
সংযোজন
হয়তো বা কোথাও কোথাও
একটু অন্য রকম
ব্যতিক্রমী
হরেদরে একই
একটি মনের অভিব্যক্তি সবই
একটু আড়াল টানা
ঘোমটা তে ঢাকা সেই ছবি!
এখনও তেমনি করে
খেলা শেষ হলে
সেই সব খেলনা-বাটি গুলি
ছড়ানো-ছিটানো কোথায় পড়ে আছে
কোন খোঁজও রাখি না!
—oooXXooo—