প্রসব যন্ত্রনা
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
সে ব্যথা গোয়াল ঘরে, অথচ কাঁদি না; চীৎকার ও না।
কারো ভালোবাসার মুখটা মনে পড়ে।
দুশ ছয়টি হাড় ভাঙার ব্যথা যোনিপথে।
একটু পিপাসা পায়, প্রকৃত জলের চাহিদা।
যে জল ক্রয় করার সময় এসেছে।
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অভাব, অভিযোগ।
যত অভিযোজন করেছি
একটা নরম গোলাপ ফুটে উঠল, শীতে কাতর।
জন্মেই সে ঠোঁটে মাতৃদুগ্ধের বৃষ্টি
তাকে একটা পৃথিবী দিল, নি:স্বার্থ।
যেখানে কোনো পিপাসা কিনতে হবে না।
মায়ের কোলে নিশ্চিন্ত শিশু
শুধু খিলখিলিয়ে হেসে বলে
আমি বহু বহু বছর বাঁচতে চাই
নাটোরের বনলতা সেন।
তখনো এতটুকুপ্রকৃত জলের পিপাসা
তবু ক্ষুধা আসে না।
পৃথিবীর অপল্কা শিশু টিকে বাঁচাবো বলেই
সেলাইনের বোতল ছুঁড়ে দিই, হেঁটে উঠি সিঁড়ি বেয়ে।
মুখ থুবড়ে, শিশুটিকে খোলা আকাশের
রোদ দিই, নির্ভাবনা দিই।
বলে উঠি, বুকের পাঁজর টা ছিনিয়ে নাও
শিশুর চোখ অপলকে চেয়ে থাকে
মায়ের মুখমন্ডল পানিতে।
—oooXXooo—