শুধু কবিতা’র জন্য
শ্যামাপ্রসাদ সরকার
# মুখবন্ধ-
আজ থেকে বেশ কিছুদিন চলবে সমকালীন বা অগ্রজ কবিদের কবিতার মধ্যে একটি যা আমার অন্যতম প্রিয় কবিতাও বটে, সেটার সাথে কবিতাটিকে নিয়ে দু-চার কথায় লেখা আমার পাঠকের অনুধ্যান।
আশাকরি, এটা খুব খারাপ হবেনা !
……….
(১)
স্বাদ
– শ্রী সেনগুপ্ত
ও গোঁসাই খিল দিও না ঘরে
ল্যাম্পপোস্টের নিচে কারা
আনাচ কানাচ ঘোরে।
রোজ আলাদা গন্ধ খোঁজো
এ এক শরীর জুড়ে।
রাত পোহালেই মহান তুমি
মিছে ভক্তির ভারে।
আমি খড়কুটো।
এঁটো বাসন।
পুকুর ঘাটের ধারে।
গোঁসাই!
বড্ড লজ্জা করে।
গোঁসাই! বড্ড লজ্জা করে।।
…………
অনুধ্যানের আখরে
– শ্যামাপ্রসাদ সরকার
………………………..
নিভৃতের প্রেম বাইরে এসে প্রকাশ পেলে আর তাতে তার সেই সেই আবেগটি আরথাকে কি? সমাজের অবলোকন তাকে যেন না সইতে পেরে এবার এক লজ্জ্বা বোধের জন্ম দেয়।
আসলে অভ্যস্ত গৃহস্থালীর মাঝে ঘনিয়ে ওঠা সেই প্রেমবোধ আর তার শরীর বিলাস না পাওয়া ও ঈর্ষাণ্বিত মানুষকে চিরকাল সর্বদাই কষ্ট দেয়।
সেখানে যেন একটা অচেনা সম্মিলনের কথা লোকানো ছিল এতদিন তা হঠাৎ বেরিয়ে এসেছে প্রকাশ্যে।
তখন সেই প্রেম আর নিছক সমর্পণ হয়ে থাকেনা! ‘বড্ড লজ্জা করে’ হয়ে শেষে কবির এই কথাটাই জেগে থাকে সব রাঙা কামনার শিয়রে!
তবুও যাপনে প্রেম থাকে। সে রয়ে যায় সব গোপনীয়তার ছ্যুঁৎমার্গিতাকে অস্বীকার করেই। এখানেই তো বন্ধু ও উদীয়মান কবি শ্রী সেনগুপ্ত পাঠকের মনের গহীনে এসে উন্মুক্ত করে দেন চিরায়ত বাসনার ধ্বনিসাম্য।
# ধন্যবাদ – কবি শ্রী সেনগুপ্ত।
(এরপর… ক্রমশ…)