অশ্বমেধের ঘোড়া
রীতা দাশ
অশ্বমেধের ঘোড়াটাকে থামাতেই হবে
কি স্পর্ধায় ক্ষুরে ক্ষুরে
সমাজের জঞ্জাল সরাতে চায় দুঃসাহসে ভর করে লাগাম পরাতে চায় দুর্বৃত্তের গলে!
অশ্বমেধের ঘোড়া, তুমি কি জানো না
চারদিকে কুমন্ত্রী শকুনিরা আছে! মহামতি ভীষ্ম আর দ্রোণাচার্য তীর
অন্নঋণ শোধে দায়বদ্ধ আজও।
তবু ছুটে চলে অশ্বমেধের ঘোড়া তাইতো আজো জেগে ওঠে
বাপি সেন, বরুণ বিশ্বাস, আর সুব্রত
মরেও আবার বাঁচে অশ্বমেধের ঘোড়া।
বিদায় সৌমিত্র
রীতা দাশ
বিশ্বামিত্র অর্জন করেছিলেন ব্রাহ্মণত্ব
আর তুমি অমরত্ব।
জীবন-সমুদ্র মন্থন করে পেয়েছ কর্মসুধা
যা তোমায় করেছে অমর।
নিজেকে ভেঙেছ, গড়েছ
অপু থেকে অপরাজিত…
হস্তাক্ষর থেকে কণ্ঠস্বর
নিজের স্রষ্টা তুমি নিজে।
সৃষ্টির রামধনু ছটায় তুমি ভুবনজয়ী
তোমার এষণার ওম নিয়ে ঋদ্ধ বাঙালি।
সাফল্য-মুকুটের হীরকদ্যুতি
আমাদের অস্মিতা।
তোমার লব্ধ সুধার ভাগী করেছ সবারে
একা করেছ যন্ত্রণার গরল পান,
একা একা নীলকন্ঠ তুমি।
রোগের সঙ্গে, দুর্ভাগ্যের সঙ্গে অনেক লড়েছ খিদ্দা!
তবু তপস্যায় অবিচল তুমি বিশ্বামিত্রের মতো।
বহুমুখী সৃষ্টির উদযাপন তোমার —
অমরত্বের অঙ্গীকার।
তিনকুড়ি বছরের কর্মজীবন পেরিয়ে
পঁচাশির গণ্ডি ছাড়িয়ে —
আজ তোমার অখণ্ড অবসর ফেলুদা!
–~০০০XX০০০~–