বড় একা
রণজিৎ মন্ডল
রাস্তা ফাকা,
যতদূর চোখ যায়, আকা বাকা,
কোরো নেই দেখা।
জীবন যেন কাঁদিছে ঘরের কোনে,
একা একা নিরজনে,
রাস্তাগুলো যেন মৃত্যুর ফুলশয্যায়
ঢাকা।
কোথায় অকরুন ভালোবাসা,
কোথায় দুখের কান্না সূখে হাসা,
হারিয়ে গেছে সব গল্প মুখের ভাষা,
ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে
একটাই ছবি মাস্কে মুখ ঢাকা।
শুধু অজানা ভাইরাসে সবই
যেন মাখা।
দয়াহীন, মায়াহীন, মনুষ্যত্বহীন
পৃথিবী আজ অসহায়,
প্রকৃতি যখন কেদেছে তাদের
হিংস্রতায়,
উত্তরমেরু, দক্ষিণ মেরু গলে জল
হয়ে গেছে,
যা ছিল বরফে ঢাকা।
হাজার হাজার বছর ধরে ঘুমিয়ে
ছিল বরফের তলায়,
নিষ্ঠুর অমানবিকতার আধুনিকতার
আগুনে পুড়ে এসেছে ফিরে
লাখ লাখ জীবনের অবশিষ্ট
ভাইরাস মানবজীবনকে ধ্বংশ
করার নেশায়।
আজ তাই সব রাস্তাই ফাকা,
মানুষ লুকায়েছে ঘরে,
কেউ নেই বাহিরে,
নিজেকে, প্রীয়জনকে বাঁচাতে
কাঁদিছে নিভৃতে, নিরজনে ঘরে
বন্দী হয়ে সবাই যেন একা একা
বড়ই একা।।
কেহ কোথাও নাই
রণজিৎ মন্ডল
এখনো মন্দির,মসজিদ, গির্জায় যাই,
বিশেষ বিশেষ দিনে, তোমারি
পূজার আয়োজনে,
প্রণাম করি বিশ্বাস হারাইনি তাই।
কত চাওয়া হারিয়েছে, কত পাওয়া হারিয়েছে,
আশা তবু আজও ছাড়ি নাই।
এ কোন খেলা তুমি খেলিছ, সৃষ্টিকে
দৃষ্টি দিয়ে কেন দেখ নাই!
রসাতলে সব গেলে মন্দির, মসজিদ
গির্জায় কখনো কি তুমি এলে?
কেন সন্তানেরে রক্ষা কর নাই!
প্রতিশোধ নিতে চাও, দোষ গুণ খুজে
নাও,
মানুষ মারতে যারা বানায় অস্ত্র রসায়ন,
এটোম বোম, দেখিতে কি তাদের নাহি
পাও? করনার ভাইরাসটাই!
পুরনো পৃথিবীকে ফিরিয়ে দাও, চাই না
উন্নত বিজ্ঞান, মানুষ মারিবার বিজ্ঞান
ধ্বংস করিতে পারো নাই।
কোথায় থাকো তুমি নীরব ঈশ্বর?
প্রতিবাদের ভাষাও কি নাই!
করনার ভ্যাক্সিন কেনার ক্ষমতা নাই,
কিনছে কোটি হাজার কোটির সমরাস্ত্র
দেখিতে পাই।
তবু মন্দিরে যাই, তবু মসজিদে যাই, তবু গির্জায় যাই,
আমরা যে নিরুপায়, আমাদের যে কোন ক্ষমতা নাই!
তাই করনায় মরে যাই, শ্মশানে পুড়ে যাই,
কোথা আছে ঈশ্বর, কোথা আছে প্রীয়জন, মন্দির মসজিদে খুজে বেড়াই!
কাউকেই ডেকে ডেকে সাড়া নাহি পাই!
সকলের অজান্তেই তোমারই মাটিতে সবুজ ঘাষেতে তাই মিশে যাই!
–~০০০XX০০০~–