O.T.P বা One Time Password
———–++++++———–
সুমান কুন্ডু
দোকানদারঃ- দাদা, মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিক আছে তো? একটা OTP ঢুকবে।
কাস্টমারঃ- না না আমার হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই।
দোকানদারঃ- যাচ্চলে! এরমধ্যে হাসপাতাল এল কোত্থেকে?
কাস্টমারঃ- ওই যে কি যেন বললেন O.T. নানা আমার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কেউ নেই। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
দোকানদারঃ- দাদা, মোবাইল না, আপনার নেটওয়ার্কটাই নেই মনে হচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় থাকেন অথচ OTP জানেন না। আপনার মোবাইলে একটা ছয় সংখ্যার কোড ঢুকবে। যা আপনি আমার সাথে শেয়ার করলে আপনার কাজটা হবে।
কাস্টমারঃ- ও এই ব্যাপার। তা আগে বুঝিয়ে বললেই পারতেন। পাঠান, পাঠান।
দোকানদারঃ- (কম্পিউটারে সাবমিট করে) চলে গেছে। তাড়াতাড়ি করুন। তাড়াতাড়ি করুন। ৫ মিনিট সময় আছে। নাহলে এক্সপায়ার করে যাবে।
কাস্টমারঃ- কি যা তা বলছেন? কে এক্সপায়ার করে যাবে?
দোকানদারঃ- আরে, OTP টা এক্সপায়ার করে যাবে। ঢুকলো? না ঢুকলে রাস্তায় চলে যান। সময় নষ্ট করবেন না।
কাস্টমারঃ- এক দৌড়ে রাস্তায়। সেখান থেকে ফের দোকানে। কই ঢুকলো না তো?
দোকানদারঃ- (আরেকজন কাস্টমারকে সামলাতে সামলাতে) কি ফোন দেখি? ও টেপা ফোন। তাই বলুন। কেন যে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ইউস করেন না? রাস্তায় যান আমি রিসেন্ড করি।
কাস্টমারঃ- রাস্তা থেকে সাঁ করে দোকানে। ঢুকেছে! ঢুকেছে!
দোকানদারঃ- কই দেখি? আরে এতো কোম্পানির মেসেজ। ধূর! আপনি রাস্তায় গিয়েই দাঁড়িয়ে থাকুন। এরপরতো বৌদির OTP টা ঢুকবে।
(কাস্টমার ভদ্রলোক তাঁবু খাটিয়ে রাস্তাতেই মোবাইলএর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন। সময় কাটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁবুতে লোকের সংখ্যা বাড়তে লাগলো।)
বিঃদ্রঃ – তাঁবুটাতে সরকারি সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। “OTP প্রতীক্ষালয়”।
–~০০০XX০০০~–