ফিরে আসা
জবা ভট্টাচার্য
পাহাড়টা অনেকদিন মুখ ফিরিয়ে আছে–
মেঘ থেকে, বৃষ্টি থেকে, আষাঢ়ের উপুরচুপুর
শ্রাবণের বৃষ্টি ভাসান থেকে।
গভীর অ-সুখ পাহাড়ের—-
শিথানে বরফের মুকুট তার উদ্ধত ভঙ্গীকে
ঈশ্বর করে তোলে– সবুজ সেখানে অনাহুত
রাতের অন্ধকারে– রুক্ষ পাহাড় নিঃসঙ্গতার
ভয়াল গহ্বরে লুকিয়ে ফেলে নিজের অস্তিত্ব।
কিন্তু মেঘ তা শুনবে কেন?
সে তো পাহাড় কে ভালোবাসে
ভালোবাসার অনাদর সে সইবে কেন?
তার শামলা দু গাল বেয়ে ঝরঝরিয়ে মুক্তো ঝরে।
একদিন আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় গভীর ঘুমে
পাকদন্ডী বেয়ে চুপিচুপি মেঘ ঢুকে পড়ে
তার শরীরের খাঁজে খাঁজে,
বৃষ্টির রুনুঝুনু শব্দ তুলে
পাথরের বুকে মিশে যায়।
সেদিন ভরা বর্ষা নেমেছিল–
মেঘের ছায়ায় অঝোর বৃষ্টিপাতে
জাগে ব্যাকুল উৎসব।
দ্রুতলয়ে মাদলের বোলে
তোলপাড় পাথুরে বুকের দুপাশ–
এতো সুখ সমর্পণে!!
মিলনে একাত্ম হলে–
পর্বতের ঠোঁট ভেঙে নামে পাগলা ঝোরার গান।
“জাগরণে যায় বিভাবরী”।
বহুদিন পর অভিমান ঠেলে সিক্ত হতে দেখে
আনন্দে শ্রাবণী পূর্ণচাঁদ খিল খিলে হেসে
গড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের গায়ে, বলে—
এবার শ্রাবণে তোমার গা ভরা আগুন এসেছে গো–
–~০০০XX০০০~–
কি যে বলি !! অসাধারণ বললেও কম বলা হয়