মুক্তি
আগন্তুক
আমি দেখেছি পথে ,
শত দীনহীন , জীর্ণ দেহ ,
সহায় সম্বলহীন , ক্ষুধার্থ ।
দেয়নি তাদের কখনো আমি ,
অন্ন, বস্ত্র কিংবা অর্থ ।
এইনা যে,ছিলনা সামর্থ ।
ছিলনা শুধু কোনোই স্বার্থ ।
আমি দেখেছি ,
শত মায়ের কান্না ,
অঝোরে ঝড়ায়ে বুক্ ।
চিকিৎসা বিহীন রয়েছে পড়ে,
তার সন্তানের বড়োই অসুখ ।
দেই নাই সাথ বাড়াই নাই হাত,
মাড়িয়াবিবেক,সরাইয়াছি মুখ
আমি দেখেছি ,
শত ভীর মহামিছিল ,
দগ্ধ হিংসার্থক কলরব ।
রক্তাক্ত ভূতলে , নিথর দেহ ,
দেখেছি আমি সব ।
সত্য পাইয়াছে চরম শাস্তি ,
মিথ্যুককে দেখেছি চড়িতে হস্তী ।
ভাতৃদ্বয়ের মৃত্যুর কুস্তি ,
দেখেছি হরষে লইয়া মস্তি ।
করিনাই কখনো প্রতিবাদ ।
পাছে সামনে আসে ,
আমার শত অপরাধ ।
স্বার্থ রাখিবারে ধরি ,
করে ছিলাম কারবারী ।।
আজ আমি বড়ো অসহায় ,
ঘেরা জালের বহ্নিশিখায় ,
কূপমুন্ডকতায় , দগ্ধজন্ত্রানায় ,
শত অপরাধের অভিসপ্ততায়।
আমি নীরবে মুক্তি চাই ।
হে ভূমিমাতা ,তোমার
কম্পনিয় অতল গহ্বরে
আমায় মিশাইয়া দাও ।
চাপিয়া মারিয়া,বক্ষে লুকাও।
হে সমুদ্র,তোমার প্রতি ঢেউয়ে
আমায় ক্ষত বিক্ষত করো ,
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করো ,
যতক্ষন দেহে প্রাণবায়ু বয় ।
হে অরণ্য ,
তোমার দাবানলের অগ্নিদ্বগ্ধে ,
আমাকে পুড়িয়ে ,করো ছাই ।
আজ আমি শাপমুক্ত হতে চাই
বাঁচিবার মত বাঁচিবার ত্বরে ,
আমি শান্তিতে মরিতে চাই ।
আমি অভিশাপমুক্ত হতে চাই।
আমি বাঁচিতে চাই ।
আমি মুক্তি চাই ।
–~০০০XX০০০~–