শ্রীমতী
কিশোর বিশ্বাস
আজ শুক্রবার, ক্লাবঘরে চোখের ডাক্তার আসবেন। চল তোমার চোখটা দেখিয়ে আনি। শ্রীমতী বলল কেন? আমার চোখে আবার কি হয়েছে? তুমি যে বললে চোখে যন্ত্রণা হয়। না,ও কিছু না। আমার চোখ ভালো আছে। না, চোখ নিয়ে হেলা করতে নেই। তোমাকে যেতেই হবে। যাব যে কুড়িটা টাকা কোথায় পাব?সত্যি ওদের অবস্থা ভালো না।স্বামী স্ত্রীর বয়স হয়েছে, ছেলে মেয়ে নেই। একটু আধটু লেখাপড়া শেখর জানলে ও চাকরি বাকরি পায়নি। সারা জীবন হ্যান্ড টু মাউথ করে চলেছে। এর মধ্যে হিসাব করে শ্রীমতী সামান্য টাকা জমিয়ে একটা এম আই এস করেছে। প্রতি মাসের এক
তারিখে পোস্ট অফিসে ধর্না দিয়ে পনেরো শো টাকা পায়। না হলে এখন না খেয়ে মরতে হতো। শেখর বলল তুমি চল টাকা আমি দেব।সারা মাসে বাজার থেকে একটু একটু জমিয়ে কুড়ি টাকা করে বালিশের তলায় রেখেছি। কিন্তু টাকা নেই। টাকা কোথায় গেল? শ্রীমতী আমতা আমতা করে বলল, সেদিন পরিবেশ দিবসে তুমি যে গাছটা এনে পুতেছ তার চেহারাটা দেখেছ?আমি কুড়ি টাকা দিয়ে ওর জন্য সার কিনেছি। শেখর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শ্রীমতীর যন্ত্রণা কাতর চোখের গভীরে কি যেন খুঁজতে লাগলো।
–~০০০XX০০০~–