চড়ক মেলা
✍ সোমনাথ প্রামাণিক
বছর আজি ফুরাবে বুঝি চড়ক মেলার রূপ দিয়ে,
ঘূর্ণি কাঁটায় সন্ন্যাসী ঘোরে পিঠে বড়শি গাঁথিয়ে।
গাজন তলায় সিদ্ধি খেয়ে খুবতো তারা নেচেছে,
শিব দুর্গা সেজে আবার অভিনয় টাও করেছে।
একটি বছর পরে মোরা এসেছি এই মেলাতে,
পুষিয়ে নেব তাই তো এবার হারাবো না হেলাতে।
হাত ধরে মেলায় ঘোরা ছোট্ট বেলায় শিখেছি,
তাই তো এখন বড় হয়েও অভ্যাসটা রেখেছি।
বন্ধু গুলো এদিক ওদিক কোথায় গেল হারিয়ে,
দুহাতে দুই খাবার প্যাকেট দিয়ে গেল ধরিয়ে।
ছোট্টো কত ছেলেমেয়ে উঠছে নাগর দোলাতে,
আজ যে তারা মেতেছে খুশির এই খেলাতে।
ভিন্ন প্রকার স্বাদের খাবার বেচছে কত দোকানি,
খাবার লোভে তাইতো লোভী সবার ঐ মনখানি।
হরেকরকম খেলনা গুলো খোকা খুকুর মন টানে,
কিনবে বলে তাকিয়ে ওরা বাবা মায়ের মুখপানে।
কেউ বলছে একটা নিবি , কেউ বলছে আর না,
রাগের বশে গড়াগড়ি ধরেছে কেনার বায়না।
ভেঁপুর বাঁশি ডুগডুগিটা বেতাল সুরে বাঁজছে,
যাত্রা পালাই অভিনয়ে অভিনেতা সব সাজছে।
ভিড়ে মেলায় ঠেলাঠেলি বদমেজাজির গালাগালি,
বাঁদর খেলায় খুশি হয়ে দিচ্ছে সবাই হাততালি।
আসছে দেখো ছোট্ট নাতি ঠাকুমার হাত ধরে,
সন্দেহতো পারবে সেকি সামলে নিতে এই ভিড়ে !
ভীষণ গরম প্যাঁচপ্যাচানি আর তো সওয়া যায় না,
আসলে আসুখ কালবৈশাখী আমিতো ভয় পাইনা।
ভয়কে জয় করো গো সবাই এই তো করি কামনা,
আগামী বছর মেলায় এস রইলো শুভ অভ্যর্থনা।
–~০০০XX০০০~–
কবিতাটির অন্তমিল যাচ্ছে তাই রকম। ছন্দের স্বাভাবিক নীতিও রক্ষিত হয়নি।
হ্যাঁ একটু ছন্দ কম হয়েছে।