করোনায় বিমর্ষ, কিসের কি নববর্ষ
✍ অমিতাভ মল্লিক অমি
কন্যা দেখি রান্না ঘরে- গিন্নি দেখি খাটে,
কন্যাটিরে আস্তে করে জিজ্ঞেসিনু ডাটে।
“কি রাধিসলো বুড়িলো বুড়ি- গন্ধে ভারী ধুম!
ভর-দুপুরে খাটটি জুড়ে তেনার কেনে ঘুম?”
কন্যা কহে সহে সহে-“মা’র জ্বালাতন সয়না,
নববর্ষে বাইরে যাবে কিনবে শাড়ী গয়না।
কই গেলে তা ফিরলে এখন- রান্না র’ল বাদ,
খেতে হবে শেষে ভেবে চড়ানো ডাল ভাত।
শীঘ্র কর স্নান সার জামা পর খেয়ে,
মা মেয়েতে তোমার সাথে কিনবো কত যেয়ে।”
হাত দিয়ে কই মাথায় নিজে- “বলিস কি হায় হায়!
করোনার এই কালে কেহ বাইরে কি আর যায়?”
হায় হায় শুনে তেল বেগুনে গিন্নী এলো ধেয়ে,
“মরদ বেটা গারদ খাটুক- যাবরে মা মেয়ে।
নয় করোনা সব বাহানা খরচ হবার ভয়,
মুরোদ নাই যার বাইরে যাবার সে একথা কয়।
টাকা কড়ি তাড়াতাড়ি হাজার চারি চাই”,
পকেট খুঁজে ভয়ে বলি- “দু’খানা নোট পাই।”
হাতে ধরে গিন্নি ছুঁড়ে – “কার হবে শ্রাদ্ধ?
আজি যাব বাপের বাড়ি- ফেরাবে কার সাধ্য?”
আমি বলি- “সেটাই ভাল- খরচ কিছু কমুক,
হাতের টাকা সামান্য যা- ব্যাংকে গিয়ে জমুক।”
রেগেমেগে চুল ছিড়ে সে- দোর ছেড়ে দেয় পা,
কন্যাটিরে বলি আমি- “পারলে সাথে যা।”
হায় হায়রে খবর কিরে- গিন্নি এলো ঘরে!
লকডাউনে গাড়ী বন্ধ- যাবে তিনমাস পরে।
–~০০০XX০০০~–