“শুধু নীলুর জন্য আজ”
✍ সুজিত মুখোপাধ্যায়
শুধু তুমি নীললোহিত, শুধু তোমার জন্য নীলু —
আমার সাতাশ ঘোড়ার বুকে দম আছে।
দিকশূন্যপুরে হাঁটতে-ছুটতে।
তোমার জন্য আজ নীরার বুকে কিশোরী কাশফুলি ওড়না।
যে বুক ওঠে নামে , শুধু তুমি মুখ রাখবে তাই।
আজ সে মাটির মুথা ঘাসে ভোরের শিশির ,
নীরা হেঁটে গেছে আলতা পায়ে ।
এক সাথে হেঁটে গেছে পায়ের পাতা দাগ।
আজ সব চন্দ্রভূক অমা র ভোরে ,
বোষ্টমী আঁকবে নতুন রসকলি ।
নতুন করে কথা রাখা তিলকমাটি ।
আঁকা আছে সব কথা রাখা কথা।
ওই দেখো নাদের আলী ডিঙি নৌকা থেকে হাত নেড়ে ডাকছে —
উঠে এসো নীলু ,
তিন পহরের বিলের কাছে—
আজ সব কথা দেওয়া কথা রাখবো —
তোমার তেত্রিশ বছরের অভিমান ভেঙে।
তোমার রুপোলি দু রগের পাশে কলপ করে
ধলভূমগড়ের সবুজ এঁকে দিই আদরে।
আজ খুঁজে দেবো স্মৃতিদের মৃগনাভী ,
সেই হারানো চন্দন কাঠের বোতাম।
আজ বড়ো অসুখ তোমার নীরা , নারী ও নদীর।
মুখ ঢাকা পৃথিবীর উঠোনে কথা ও কবিতার।
তোমার নদীর পাশে এলোচুলে নারী আর মৃত্যু পাশাপাশি বসে আছে —
একবার ফিরে এসো আজ ।
একটি বার তোমার হাত ছুঁয়ে বৃষ্টি ভিজবো ,
সন্ধ্যা মেঘের পাশে দেখবো ভেজা রুপোলি মানবী।
আমি কবিতায় ছুঁয়ে দেখেছি নীরার মুখ ,
কথা দিলাম এ অক্ষরে পাপ নেই —
যে ঠোঁটে তোমার কবিতা ছুঁয়েছি ,
নীরা কে খুঁজেছি একবুক খোলা ভুবনডাঙ্গার মাঠে ,
সে মিথ্যে কথা দেয় না নীলু—-
আমি ও প্রেম আর নারীকে সাক্ষী করে ,
যাযাবর নাড়ি পুঁতে রেখেছি সেই দিকশূন্যপুরে —-
খুঁজে চলছি আজও ,
নারীর জন্য , নদী আর নীরার জন্য
এক পৃথিবী কবিতা।
–~০০০XX০০০~–