জলই জীবন
সুপর্ণা দত্ত
পৃথিবীতে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল
তবু সারা পৃথিবীতে মেলে না পানীয় জল।
আজও গ্রামে গঞ্জে আছে তীব্র হাহাকার
জলের অভাবে সমভূমি মরুভূমির আকার।
তৃষ্ণার্ত চাতক যেমন আকাশ পানে চেয়ে
জলের আকুল আবেদনে যায় চারিদিক ছেয়ে।
পৃথিবী জুড়ে আছে সাগর,মহাসাগর,নদী,পুকুর
সে জল যায় না পান করা
দূষণ হয়েছে ভরপুর।
মানুষ করেছে তার যথেচ্ছ অযত্ন অপব্যবহার
জাহাজ,ট্রলার,স্টীমারে ব্যবহৃত তেল কারণ তার।
কল-কারখানার আবর্জনা দূষিত করে জল
মানুষ পাচ্ছে আজ নিজেই তার কুফল।
পুকুর ভরাট খাল ভরাট,নদীর বুকে পরছে চড়া,
বন-জঙ্গল কেটে আজ পরিস্কার হচ্ছে এই ধরা।
বন উজাড় ও দূষণের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ছে যত,
বায়ুমন্ডলীয় পরিস্থিতিতে আকাশের মেঘ কমছে তত।
আকাশের কোলে মেঘ না হলে বৃষ্টিপাত তো কমেই যাবে,
ভূগর্ভস্থ জলের নামছে স্তর,ভূপৃষ্ঠ ধুকজে জলের অভাবে।
যারা পায় তারা করে জলের ইচ্ছামত অপচয়
তাদের মনের মাঝে নেই কোনো দ্বিধা-ভয়।
পায়নি কোনোদিন যারা একটুও জলের কষ্ট
সারাদিন যেমন খুশি করে তারা জলের নষ্ট।
বোঝে না তারা জলের অভাব ঘটার বিপদ
জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন জল নামক এই সম্পদ।
এক কলস জলের জন্য যারা বালি খোঁড়ে,
মাথায়,কাঁকে কলস নিয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটে,
যারা একটি ফোঁটা জলের জন্য কোদালের ঘায়ে
খড়া জমিতেও মাটি কাটে, মাথার ঘাম ফেলো পায়ে।
তারাই বোঝে জলের মূল্য গুরুত্ব কতটা জলের
নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের মত ভূমিকা জলের।
বর্তমানে কিছু জায়গায় হয়তো হচ্ছে জলের অভাব
ভূতত্ববিদের পর্যালোচনায় পরেছে ধরা এর প্রভাব।
জলাশয় ভরাট, নগরোন্নয়ন, গাছ কেটে ফেলা
রুষ্ঠ প্রকৃতি নিচ্ছে প্রতিশোধ তার অবহেলার।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে ভুগছে পৃথিবী বদলেছে ঋতুচক
তারই প্রভাবে বাড়ছে তাপ প্রকৃতির ভ্রূকুটি বক্র।
জলেই মোদের জীবন বাঁচে,জল ধরো আধারে
বৃষ্টির জল,জলাশয়,কূপ,কল কিংবা জলাধারে।
জলের অপচয় রোধ করে সংরক্ষণ করা ভাই
সকলে মিলে জলের কষ্ট একটু হলেও মেটাই।
দিবারাত্র সকল কাজে জলের প্রয়োজন
তাইতো জলের আর একটি নাম জীবন।
—oooXXooo—