কাজের বাজার নিয়ে আজ সারা বিশ্ব তোলপাড়। শুধু এদেশেই নয়, কাজের জোগান, চাহিদা, মজুরি এক অভিনব রূপে আজ গোটা বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করছে। এই শুনি দিকে দিকে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা। আবার কিছু পরেই কর্মীরাও আমি হন্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিয়োগকারীরা। এককথায় কর্ম সংকোচন- কর্ম প্রসার যেন ঋতু পরিবর্তনের মত আজকের দুনিয়ার স্বাভাবিক এক প্রবণতা। ফলে তথ্যের কানাগলিতে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাবেক অর্থনীতিবীদ ও পণ্ডিতরা। তাহলে কি কাজ এবং কাজ পাওয়া না পাওয়ার চিরায়ত সমস্যা ফুরিয়ে গেলো ? অর্থাৎ ক্ষণিকের অপেক্ষাতেই মিলে যেতে পারে কাজ। আবার সে কাজ হারিয়ে যেতে সময় সামান্য অপেক্ষা মাত্র। তারপর ফের অন্য কোন কাজে কিছুটা স্বস্তি। মাঝে শুধু কতক্ষণ স্টপ গ্যাপ অনিশ্চয়তা ও অপেক্ষা ? ইন্টারন্যাশনাল লেবার কমিশনের তথ্য বলছে নিয়োগ পারছে সেই সব ক্ষেত্রেই যেখানে কাজির চরিত্র অস্থায়ী এর অর্থ কাজ করাতে গিয়ে নিয়োগকর্তার তরফে কর্মী সুরক্ষা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে জার্মানি কম মজুরি দিয়ে কাজ হাসিল হয়ে যাচ্ছে সামগ্রিকভাবে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে মুনাফার হার বাড়ছে এটা সম্ভব হয়েছে অর্থনীতির মূল কেন্দ্র ডিজিটাল হয়ে ওঠা এবং ভার্চুয়াল পণ্য ও পরিষেবা চাহিদাও কদর বেড়ে যাওয়ার হিসেবে বর্তমানে সারাবিশ্বে 200 কোটি মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করছেন তাই আজকের শ্রমিক সমস্যা যতটা না কাজের অভাব বেকারত্ব জনিত তার থেকেও বেশি মজুরির ক্রমহ্রাসমান বৈষম্য দারিদ্র্য ও সামাজিক সুরক্ষা কে বীভৎস রূপে প্রকট করেছে প্রচুর পরিশ্রম করেও স্বল্পআয়ের সংসার চালাতে না পেরে ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা কোন স্বাভাবিক প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে একদিকে বউ পালালো সদস্য হাতছানি অপরদিকে অল্প মজুরি এই দুই টানাপোড়েনে সামাজিক ভারসাম্য যথেচ্ছভাবে হিংস্র অধৈর্য হয়ে উঠেছে হারিয়ে যাচ্ছে ট্রেড ইউনিয়ন মানসিকতা কারণ একই ছাদের তলায় হাজার শ্রমিকের প্রোডাকশন লায়ন এর অস্তিত্ব আর ক্রমেই বিলিয়নার যেখানে জায়গা করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রিত কাঁচের টুকরো টুকরো এমনতর ব্যক্তিগত অথবা ছোট ছোট পরিসরে অস্থায়ী ও নমনীয় জাকির কি করছো নীতিগুলি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে ভাবছেন আরেকটু ভালো মজুরি পেলে অন্য কোম্পানিতে সরে যাবেন ইউনিয়ন করার দরকার কি সুজুকি 18 ঘন্টা যতক্ষণই কাজ করছেন মাথায় থাকছে ইন্সেন্টিভ বাড়িয়ে নেওয়ার এ আরাফাত কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার শব্দ নেই আমার কাজের চাপে জর্জরিত জীবন আমাদের দেশেও তথৈবচ নীতি আয়োগ জানাচ্ছে অর্থনীতিশিল্প পরিষেবা ক্ষেত্রের মিলিত মূল্য 80 শতাংশ সেখানে কাজ করে মোট কর্মরত বাহিনীর 54 দশমিক 4 শতাংশ অথচ এখানে কাজের সংকোচন-প্রসারণ অস্বাভাবিক কাজ মিলিয়ে যাচ্ছে নতুন কার্ড তৈরি হয় যেমন এই মুহূর্তে যে কাজগুলি চাহিদা তৈরি হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং ভিডিও মার্কেটিং ইউটিউব ভিডিও ইন্সুরেন্স এক ওয়েব ডেভেলপার হেলথকেয়ার পার্সোনাল ব্লকচেইন ডেভেলপার ইত্যাদি এছাড়াও ডেলিভারি বয় হাতে-কলমে বিবিধ পরিষেবা প্রদানকারী শিল্প বিনোদন শিল্পের অকল্পনীয় প্রসাদ রিপেয়ারিং মেইনটেনেন্স অটো টোটো ওলা উবের মত পরিবহন শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ এর ফলে চালক ছাড়াই কর্মী হেমন্তপুর কাজিরবাজার প্রতিমন্ত্রী সৃষ্টি হয়েছে আবার এই কাজগুলি ও অনেক ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় হয় 2900 শ্রমিক সংকোচন করছে আখেরে অর্থনীতির প্রায় যাবতীয় ক্রিয়া-কলাপ ব্যাপক ও বহুল পরিমাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্দেশিত এমন এক স্বয়ংচালিত ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে যে মানুষের প্রয়োজন অনেক ক্ষেত্রে ফুরিয়ে আসছে অথবা নতুনভাবে সূত্র হচ্ছে যেমন কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ছোট ছোট ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা গেলেও মনুষ্য পরিচর্যার ভূমিকা এখনো ফুরিয়ে যায়নি হয়তো ভবিষ্যতে চালকবিহীন গাড়ির প্রচলনে ড্রাইভার এর প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে কিন্তু ড্যাশবোর্ডে বুদ্ধিদীপ্ত সজাগ দৃষ্টি রাখার আবশ্যিকতা অনুষ্ঠানকে নতুনভাবে সুত্রা এ টেল এইভাবে একটা কনডমের রিয়া প্রক্রিয়ায় এমনতর পরিবর্তন আসছে খুব দ্রুত শ্রমের চরিত্রের প্রয়োজনে তার ধরন আমূল বদলে যাচ্ছে
শ্রমিক শ্রেণী আহ্বায়ক খুব অল্প জায়গাতেই কার্যকরী থাকছে বলা যেতে পারে এই মুহুর্তে কর্মরত কর্মহীন মানুষের আক্রম এই একই সূত্রে বাধা পরছে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম সামাজিক সুরক্ষার স্বাস্থ্যের অধিকারী এই দাবিগুলি এখন সমাজের সর্বস্তরে মুখ্য জায়গায় চলে আসে কারন কাজ এখনো ওঠেনি যদিও অধিকাংশ সে কাজগুলো স্থায়িত্ব নেই কিন্তু নতুন কাজের প্রেসার কম কিছু নয় বরং প্রশ্নটা বিযুক্ত কাজের মজুরি কত তা কতক্ষণে এখানেই সমস্যার মূল তিনটি কারণ কাজ থাকলেও মাইনে কম এবং কাজের সময়ের কোনো নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট ও অথবা সীমা নেই বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাই আরো গরীব হচ্ছেন অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এবং এক সর্বগ্রাসী ইঁদুর দৌড়ে বিপন্নতার কত হল সাগরে ডুবে যাচ্ছে।