প্রতি বছর গ্রীষ্মকাল আসলেই সূর্যদেবের প্রখর তাপদাহে যখন আমাদের শরীর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ,ঘর্মাক্ত হয়, ক্লান্ত হয় , শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয় , মাটি ফেটে ফুটি ফাটার মতো হয় , তখন একটু 🌴গাছের হাওয়া,একটু ছায়ার জন্য আমরা মানুষেরা অস্থির হয়ে উঠি | আমাদের ১০০ভাগ মানুষেরই বুকে 🏔প্রকৃতি প্রেম , বৃক্ষ প্রেম সাগরের ঢেউয়ের মতো তখন উথলে ওঠে | আমরা তখন গাছ 🏝লাগাও ,প্রাণ বাঁচাও শ্লোগান তুলি, কোন কোন সংস্থা আবার চারাগাছ দান বা চারা গাছ রোপনের কর্ম সূচি পালন করে থাকে | একটি গাছ কত অক্সিজেন দান করে তার ব্যাখ্যাও তুলে ধরে | গাছকে নিয়ে কত না আয়োজন | বেশ ভালোই লাগে |
কিন্তু দুঃখের বিষয় 🌅গ্রীষ্ম কালটা পার হলেই আমরা বেশির ভাগ মানুষ ভুলে যাই গাছেদের গরুত্ব | আমার মনে হয় যে গাছের চারা গুলো রোপন করা হলো তা ঠিকঠাক ভাবে বেড়ে উঠছে কিনা নাকি অযতনে অকালেই মরে যাচ্ছে সেদিকে আমাদের অনেকেরই নজর থাকে না | বরং রাজপথ নির্মাণ সহ রাজপথ প্রসস্থ করার স্বার্থে , 🏢অট্টালিকা নির্মাণের স্বার্থে ,আইনি পথে বা বেআইনি পথে কাঠ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নির্বিচারে পথের ধার থেকে ,গভীর বনাঞ্চল থেকে গাছ গুলোকে 💥ধ্বংস করা হয় |
শুনছি এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের বুকে নাকি ৫০০ কোটি গাছ লাগাবার প্রয়োজনীয়তা আছে | এমনটা হলে তবে হয়তো গরমের হাত থেকে জীবকূলকে বাঁচানো সম্ভব | নয়তো বেলুড় মঠ কর্তৃক ফেস বুকে আসা একটি পোস্ট অনুসারে জানা গেলো আগামী দিনে তাপমাত্রা 45Cথেকে বাড়তে বাড়তে 60C পর্যন্ত হতে পারে | তখন বাঁচাই দুস্কর হয়ে উঠবে !
তাই আসুন , শুধু মানুষের স্বার্থে নয় সকল 👥👨👨👦🐕🐯🐐🐦🕊জীবকুলের বাঁচার জন্য বৃক্ষ রোপনের চেতনা বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃক্ষ সংরক্ষণের দিকেও সরকারি ও বেসরকারি ভাবে নজর দান করি |