হায়রে শিক্ষিত
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
হায়রে গর্ব শিক্ষিতের,
করেছ মা দুর্গার দেহপূজো।
দাওনি এতটুকু জল মায়ের জ্বোরোঠোটে।
হাজারো ডানপিটে ক্যাফেন সিগারেটের টানে।
উড়ে যায় ,শত শত পায়রাদের নিধনযঞে।
তাদের রক্তের সুখে খেলেছ আনন্দ হোলি।
তোমাদের ডিগ্রী নামক অহঙকার অহল্যা পাথরে।
তোমাদের শ্রাবন কি একবার ও কাদে না ?
আজ জানতে চাও,
আমার প্রেম কোথায়?
তবে শোনো ,
দেখেছ কি জারোয়া তীরন্দাজ।
সে নয় অর্জুন, নয় সূতপুত্র কর্ন।
সে শুধু সুসভ্য ইতিহাস।
আজো পরে আছে বাকল
কিং বা উলঙ্গ মহীরুহ।
কাজলদা, তুমি বাচিয়ে রেখো
এক পাল মেষশাবককে।
তুমি আমার ছিনাথ বহুরূপী।
তুমি আমার মহাশূন্য আবিষ্কার।
বাঘ সিং হের মুখোশে
বাচিয়ে রেখো বাঘ্র প্রকল্প।
গেয়ে যেও ভালোবাসার গান।
কতকাল ঘুমায়নি,
কত প্রহর শুধু শুনেছি বাদলধারা।
চার্চের ঘন্টাও আর বাজে না।
শুধু জ্বলছে একমাত্র
স্বাধীন ভারতভূমির আগ্নেয় মশাল।
জারোয়া ছাউনিচিত্রে।
হায়রে শিক্ষিত ,
আমিতো মূর্খই।
আকাশের ধাধা।
আমার মনের কথা জেগে ওঠে
ক্যারাম বোর্ডে।
তোমাদের ঊর্ষসী ,
রেনেসাস দাবা ঘুটির প্রতিটা ছকে।
বেশ তো ,
লিখো আমায় নিয়ে
প্রহসনের উপন্যাস।
আমার শারদ প্রভাত
এগিয়ে আসছে কাজলদা।
এগিয়ে এসেছে মৃত্যু পঞ্জিকা।
আর কত রাত ই বা বেচে থাকব
পরাধীন সভ্যতার শৃঙ্খলে।
ছুটি দাও,ছুটি দাও।
শিক্ষিতের মহীরুহ নাহয় পৌছাবে
চাদে ।
আর আমার প্রেম রুটির টীকায়,
চাদের মানচিত্র।
শিক্ষিত তুমি নিয়ে এসো
প্রসাধনী ব্যাকারন
অট্টালিকা উদাহরন।
আমার আত্মজা জল দিও
শেষ নিশ্বাসে।
সে বেচে থাকবে অনন্ত যুগ
তার মায়ের মৃত্যু কবরে ,
মেঠো খাল,
ডুবসাতার হাস,
আর একটি
গোলাপ চারা বেচে থাকবে বলে।
—oooXXooo—