বর্বরতা
স্বপ্না নাথ
দেখেছি সেই বীভৎসতার রূপ,
দেখেছি সেই রুধিরাক্ত কাল,
বিগত সময়, ১৯৭১ সাল।
হাতে নিয়ে প্রাণ,
সনাতনীর মহা মিছিল,
কোলে ভুখা শিশু, লোটা কম্বল,
ত্রাসিত আননে শুধু
বাঁচার সমাকুল।
বর্বরতার কি নৃশংস চিত্র!
এতদিনের সহযাপন,
এত চেনা মুখ,
একই রক্ত তবু, নয় কেউ মিত্র।
শুধু ধর্মের কারণে—
পারে কি প্রকারে, উদ্যত হননে?
বিকৃত উল্লাস, জান্তব রমনে,
বিদ্বেষে ছারখার, অগ্নির দাহনে।
মুখোশের আড়ালে শ্বাপদের আখি,
” মানবতা” সে কি শুধুই শব্দ?
আদিমতা এত ক্ষুরধার?
অপাত্রে বিশ্বকবির মিলন রাখি।
ভোলা কি যায়, সেই তমসাময়,
এক হাওয়া, একজল, মাটি মাতৃক,
কোথা ছিল অন্তরে এতো উপশয়?
ভাবিনি কখনো হায়,
এতদিন পর, সেই পূর্ব চিত্রকায়!
আমার সোনার বাংলায়,
বারেবারে ইতিহাস একই কথা কয়!
সময়ের ব্যবধানে নেই রূপান্তর,
হিন্দুর দেহ পোড়ে,পোড়ে বাড়ি ঘর,
নারীর লজ্জা পোড়ে, মন্দিরের দ্বার,
মানব হৃদয় পোড়ে,স্থাবর অস্থাবর।
জাতীর জনক গড়ায়,
যেন মূর্তি বামিয়ার,
তালিবানি আচরন, ছি :ছি: কি লজ্জার!
জনে জনে লুন্ঠক, মানুষ কি বাংলার! ?
কত, আর কতবার?
সময় কি হয়নি? আত্মরক্ষার?
থেমে কেন আছো? বিশ্ব দরবার?
কর্মহীন প্রতিবাদ, তিমির অসার।
হাতে রাখো হাত,
জেগে জেগে ঘুমিও না, পোহাবেনা রাত।
অঙ্গীকার বদ্ধ হই,
এসো একসাথ,
বৈদিক অনন্ত, জেনো নিশ্চিত।
—oooXXooo—