হুঁ৷ রাজা, তবে ‘রক্ত করবী’-র৷ তুমি কি নন্দিনী! হয়তো হবে৷ ক্ষতি কি যদি তুমি তা নাও হও! থামবে না৷ স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন দেখাও৷ যদি তোমাকেই নন্দিনী ভাবি, তা কি দোষের কিছু হবে! ভাবনার গতি কখনো সর্পিল, দূরে তাকে এখন না হয়, সরিয়ে রাখি তবে৷ তুমি কবি মনে মনে বোনা স্বপ্ন গুলি কালির আঁচড়ে আঁকা সাদা কাগজের বুকে ফুটে ওঠা সবুজ প্রাণের অঞ্জলি৷ ফোটা ফুল গুলি অজানা কেউ যদি সংগোপনে তুলে নেয় বুকে সবগুলি, তাও তা কি কখনো শূন্য হবে! তারপরও তা তেমনি হাসিমুখে অম্লান বদনে চেয়ে রবে৷ কখনো কখনো হয়তো বা সে বিষণ্ন ও হবে পথিক-সঙ্গ পেলে ভালো হতো এই কথা ভেবে৷ জানো— স্বপ্ন ও বাস্তবে ভীষণ প্রভেদ! মন জানে সব, তবু দেখো অবাধ্য পথিক মনন সে পথেই অবিরাম হেঁটে যাবে! তাতে কি! সে হাঁটুক— রাগ দুঃখ অভিমান হাসি-কান্না নিতি নব অনুরাগ একা অতি সংগোপনে কতো না কথা কবে! মন স্বপ্ন বুনতে ভালোবাসে একান্ত মননে সে স্বপ্ন বুনে যাবে৷ স্বপ্ন! সে স্বপ্ন ই, সত্য বলে ভেবে নিলে বড্ডো ভুল হবে৷
কবি! তুমি শুধু ভালো বেসো স্বপ্ন কে ই! বাস্তবের মাটিতে না যদি খোঁজো তাকে স্বপ্ন তোমার সেখানেই সার্থকতা পাবে৷ মন যদিও নাছোড়, রাজপথ ছেড়ে খালি অলি গলি ধরে সে চলে বেয়াড়া ভীষণ দেখেছি তো, ব্যথা পাবে, তবু ফিরে ফিরে হোঁচট ও খাবে, এমনই ভালো বাসে৷ কী জানি, কেন জানি তাও ভালো লাগে বেশ! অবৈধ প্রবেশ প্রস্থান, উঁহুঁ, এখানে নিষেধ৷ চোখে জল, ওষ্ঠ জুড়ে মৃদু হাসি সে ব্যথায় নির্দ্বিধায় স্নেহের প্রলেপ বুলাবে! আহা! এ কি অনুভূতি! কি বিচিত্র এ কবি মন!
ঠিকই, বাস্তবের আঘাত না পেলে খেলা তার একটুও জমে না যে! এও বাহ্য৷ এমনই ভাবো তবে!