ছিপছিপে চেহারা, পরনের ধুতি-পাঞ্জাবিটা ছেঁড়া-ফাটা হলেও ধবধবে পরিষ্কার। সাদা মোটা গোঁফ, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, হাতে ডাণ্ডাওয়ালা ছাতা। সবই চেহারার মতো লম্বা, নস্যির ডিবেটা ছাড়া। যোগেশ’মাস্টার একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাই বলে কোনও সরকারি দয়াদাক্ষিণ্যের ধার ধারেননি। তিনি সোজা-সাপটা জীবনযাপনে বিশ্বাসী। স্কুলে ছাত্র পড়িয়েই তাঁর একমাত্র ছেলেকে ডাক্তারি পাশ করিয়েছেন যা-তে করে গরিব মানুষগুলোর চিকিৎসা হয়।
তিনি যে স্কুলে পড়ান তার নাম ‘আচার্য জগদীশ চন্দ্র বয়েজ হাই স্কুল’। মাস্টারমশাইয়ের নামযশের জৌলুসে স্কুলের নাম পরিবর্তিত হতে হতে একদিন হয়ে গেল “আশ্চর্য যোগেশ চন্দ্র বয়েজ হাই স্কুল”! সরকারি নামটাও আছে, তবে সেটি কাগজে কলমে। বলতে গেলে ‘তিনি’ অভিমানে লুপ্তপ্রায় হয়ে লেপ্টে আছেন শুধু স্কুলের তোরণের ফলকে!
সহজেই অনুমেয়- এ ঘটনাটা একদিনে ঘটেনি।
মাস্টারমশাই ইতিহাস পড়াতেন। ‘পড়াতেন’ না বলে, ‘শোনাতেন’ বলা ভালো- যা ছাত্ররা হাঁ করে শুনত এবং তাদের চোখের সামনে ঘটনাগুলো ভেসে উঠত! তা পলাশীর যুদ্ধই হোক বা জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড! বিশেষ বাচনভঙ্গি এবং উচ্চারণ-গুণে মাস্টারমশাইয়ের কথাগুলো ছাত্রদের মনে একেবারে গেঁথে যেত অব্যর্থ তীরের মতো! সে’কারণেই ছাত্রদের কখনও সিলেবাস বা নোটস নিয়ে মাথা ঘামাতে হতো না! ওদের উৎসাহ দেখে মাস্টারমশাই মাঝেমধ্যে বাড়িতে ডেকে নিয়েও পড়াতেন এবং ওঁর স্ত্রী সেই-সব ছাত্রদের আদরযত্নের দায়িত্ব নিতেন মায়ের মতো করে! ওঁর এই সব ‘বিদ্যাসাগর’পনার কারণে ঝক্কিও পোহাতে হতো অনেক! যাঁরা বাড়তি আয়ের জন্য স্কুলের আগে-পরে কোচিং সেন্টার চালাতেন তাঁদের ‘ব্যবসায়’ মন্দা যেত বলে আকার ইঙ্গিতে তাঁরা অনেকবার মাস্টার’মশাইকে বুঝিয়েছেন। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় কুখ্যাত ‘কানু মাস্তানকে’ দিয়ে একবার শায়েস্তা করারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হায়, সেখানেও ফল হলো উল্টো! মাস্টারমশাই তাঁর ডাণ্ডাওয়ালা ছাতাটা দিয়ে সেই ফুটো-মাস্তানকে এ…..ম…….ন পেটান পিটিয়েছিলেন যে সে-যাত্রায় কানু হাতে-পায়ে ধরে কোনোরকমে বেঁচে গেছিল! এখন সে প্রত্যেকদিন মাস্টারমশাইয়ের বাগানে গাছের গোড়ায় জল দেয়! তাঁকে ‘জ্যাটামশাই’ বানিয়ে খুব ‘যত্ন-আত্তি’ও করে! হাতেনাতে ফলও পেয়েছে- ‘জ্যাটামশাইয়ের’ সুপারিশে গ্রামের একটা কারখানায় এখন সে দারোয়ানের কাজ করে!
★★★
যোগেশ মাস্টারকে কেউ কখনও বই হাতে নিয়ে পড়াতে দেখেনি। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের পাশাপাশি বাড়িতে পড়াশোনাও করতেন। ওঁর মতে- “বই দেখে পড়ালে মাস্টারমশাইয়ের প্রতি ছাত্রদের আস্থা থাকে না। পড়াতে হবে এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে ছাত্ররা কাহিনির প্রধান চরিত্রে তাদের মাস্টারমশাইকেই দেখতে পাবে, আর তাতেই বাড়বে পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ এবং ভালোবাসা!”
মাস্টারমশাই বেশ কিছু বইও লিখেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটো বই হল “ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শিক্ষক সমাজের অবদান” এবং “বাংলার রেনেসাঁ আন্দোলনে মনীষীদের ভূমিকা”।
এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল।
মুশকিল হল, তাঁর কর্মময় জীবনে অবসরের কথা কখনও তিনি ভাবতেই পারতেন না। কিন্তু সরকারি নিয়ম-কানুন সে-কথা শুনবে কেন!
ওঁর অবসর হয়ে গেছে একবছর আগেই। হেড স্যারের মহানুভবতায় বাড়তি এক বছরের এক্সটেনশন নিয়ে এখনও তিনি পড়িয়ে যাচ্ছেন।
তাই অনেক ভেবেচিন্তে একদিন স্কুল ছুটির পর হেডস্যার ওঁকে নিজের ঘরে ডেকে নিলেন।
কীভাবে শুরু করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। যাইহোক, মাস্টারমশাইয়ের প্রিয় মিষ্টি রসগোল্লা আনিয়ে সাজিয়ে রাখলেন টেবিলের ওপর।
মাস্টারমশাই ঘরে ঢুকে বড়ো বড়ো রসগোল্লা দেখে একগাল হেসে দিলেন- “আরিব্বাবা, আপনে করসেনডা কী, আইজ কি আপনের জন্মদিন না কি?”
হেডস্যার যোগেশ মাস্টারের থেকে বয়সে অনেক ছোটো। খুব শ্রদ্ধা ভক্তি করেন তাঁকে। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন-
“স্যার আপনি আগে বসুন, একটু মিষ্টি মুখ করে নিন, আপনার প্রিয় মিষ্টি এনেছি!”
”আপনে তো মশাই আমার সব খবরই রাখেন দেখসি! তা ভালোই করসেন, বাড়িতে সেলে-বউ আর তাদের মায়ের কড়া শাসনে আইজকাল আর মিষ্টি খাওনের সুযোগই হয় না। লুকাইয়া লুকাইয়া কত আর খাওন যায়”!
নিজের কথায় নিজেই হো হো করে একপ্রস্ত হেসে নিলেন!
আর সময় নষ্ট না করে চারটে আঙুলের মাথা গ্লাসের জলে ছুঁয়ে নিয়ে মিষ্টিগুলো টপাটপ মোটা গোঁফের ফাঁক দিয়ে পুরে দিলেন সুগভীর মুখগহ্বরে! চোখ.…… বুজে……একটু….. একটু~~~করে~~~ রসগোল্লার~~~রসের~ সঙ্গে~~আত্মার~~ মিলন~~ঘটালেন~খুব~তৃপ্তি~~~করে!
মস্ত একটা ঢেঁকুর তুলে রসের রেশ রেখে বললেন –
“অনেকদিন পরে তিনু’ময়রার মিষ্টি খাইলাম! আহা, কী শান্তি!
আবার আঙুল’চারটে জলে ধুয়ে নিয়ে ধুতির খুঁটে মুছতে মুছতে বললেন-
তখন হেডস্যারের ঘরে উঁকি মারছে কয়েকশ জোড়া চোখ, সামনের দিকে রয়েছেন মাস্টারমশাইরা, পেছেনে ছাত্ররা। সকলেই অনুমান করছে, আজ আবার এক বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে! কী কাণ্ড করেন যোগেশ মাস্টার- সেটাই দেখার!
হেডস্যার ঢোক গিলে সবিনয়ে বললেন- “স্যার, আমার তো হাত-পা বাঁধা, ইচ্ছে থাকলেও আপনাকে আর ধরে রাখতে পারছি না!
কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাস্টারমশাই যেন নিথর হয়ে গেলেন! তারপর নিস্তেজ গলায় বললেন-
“আদর কইরা মিষ্টি খাওয়াইয়া শ্যাষে কিনা আমারে এই কথা শুনাইলেন”! গলায় তখন দলা পাকান কান্না! পর্বতের চূড়ার মতো নিজ ক্ষমতায় টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজন বীর যোদ্ধা হঠাৎ-ই যেন ঝরঝর করে ভেঙে পড়লেন!
“দয়া কইরা আমারে তাড়াইবেন না, ছাত্র পড়ানো বন্ধ হইয়া গ্যালে আমি যে মইরা যামু! ঠিক আসে, ব্যতন দেতে হইবে না, শুধু ইশকুলে আসাটা আমার বন্ধ করবেন না”!
হেডস্যার মাস্টারমাসাইকে জড়িয়ে ধরে বললেন-
“আপনি এভাবে ভেঙে পড়বেন না! আমার অবস্থাটাও একটু বুঝুন স্যার”!
ততক্ষণে কয়েকজন সহকর্মী ঘরে ঢুকে গেছেন, তাঁরা মাস্টারমশাইকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন। অ্যাসিস্টেন্ট হেডস্যার একটু নিচু গলায় বললেন-
“আমার মনে হয় আজ আর এ-নিয়ে কোনও কথা না-বলাই ভালো। ওঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দু’-একদিনের মধ্যে কথা বলে একটা ব্যবস্থা করা যাবে’খন। এখন ওঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসি, কী বলেন স্যার?
“তাই করুন।”
★★★
দু’দিন পর ফেয়ারওয়েলের আয়োজন করা হলো। যোগেশ মাস্টারের বিদায় বেলায় সাক্ষী থাকার জন্য ছাত্রদের সাথে উপস্থিত ছিলেন সারা গ্রামের মানুষ। সবার চোখে জল, হাতে উপহার।
মঞ্চে উপস্থিত সকলে ঘন ঘন ঘড়ি দেখছেন আর ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। কথা হয়েছিল, ছেলেকে সঙ্গে করে মাস্টারমশাই আসবেন। কিন্তু মাস্টারমশাইয়ের ছেলে একা এসে হেডস্যারকে কিছু বলছেন।
হেডস্যার মাইকে ঘোষণা করলেন-
“আমাদের সকলের প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় মাস্টারমশাই একটু অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারলেন না! তাই ওঁর হয়ে আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন ওঁর সুযোগ্য পুত্র ডক্টর স্বরাজ ব্যানার্জি মহাশয়।”
‘মাস্টারমশাই আর কোনোদিন স্কুলে আসবেন না’- এ কথা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না!
★★★
পরের দিন সকালে মাস্টারমশাই যথারীতি স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে লাগলেন, স্ত্রী একটুও অবাক না হয়ে হাতে হাতে সব এগিয়ে দিলেন। বগল-ঝোলায় টিফিনও গুঁজে দিলেন। দরজায় দাঁড়িয়ে গলায় আঁচল জড়িয়ে ‘দুগ্গা দুগ্গা’ বলে রওনা করালেন! “সময় মতো খাইয়া লবা কিন্তু, শরীর খারাপ কইরও না।”
“এই তো, এত দিনে তুমি আমার ভাসায় কতা বলতে সিকেচো। আজ আমাকেই তোমার সব থেকে বেসি দরকার!”
মাস্টারমশাই ছাতা উঁচিয়ে বললেন-
“তুই পথ সাড়বি না ছাতার বাড়ি খাবি”!
কানুও দমার পাত্র নয়, জামা তুলে পিঠ এগিয়ে দিয়ে বলল-
“সেই কবে আমার পিটে তোমার ছাতা ভেঙেচিলে, ভুলে গেচি। আজ আবার মারো, যত খুসি পারো”!
‘কোনও লাভ হবে না’- বুঝে মাস্টারমশাই পাশ কাটিয়ে হনহন করে হাঁটা লাগালেন স্কুলের দিকে।
★★★
‘বৃন্দাবন’ দারোয়ান মাস্টারমশাইকে দেখেই মাটি কাঁপানো একটা স্যালুট ঠুকল! ওঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই ছাত্ররা হই হই করে এসে তাদের স্যারকে নিয়ে গেল স্কুলের ভিতরে!
এ-সব কাণ্ড দেখে বৃন্দাবন ছুটল হেডস্যারের ঘরে।
হেডস্যার ছুটে এসে মাস্টারমশাইয়ের হাত ধরে বললেন-
“স্যার আপনি আসবেন আমি জানতাম, চলুন আমার ঘরে, আমি সব ঠিক করে রেখেছি!”
একথা শুনে ছাত্ররা হাত তুলে হেডস্যারের উদ্দেশে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করল!
বেচারা কানু’মাস্তানের অবস্থা তখন চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো! কী আর করে, বুকপকেট থেকে একটা বিড়ি বার করে দুদিকে দুটো ফুঁ মেড়ে আগুণ ধরিয়ে টানতে টানতে বাড়ির পথ ধরল! বেচারা আজও ঋণ শোধ করার কোনও সুযোগ পেল না!
★★★
দু’দিন বাদেই স্কুলের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব। সেই উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। সে-দিন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। চতুর্দিকে সাজো সাজো রব! স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে প্যান্ডেল খাটানোর জন্য।
কিন্তু যোগেশ মাস্টারের কোনও হেলদোল নেই। তিনি রোজকার মতোই কোণের একটা ঘরে বসে গ্রামের দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে যাচ্ছেন! পড়া-শেষে সবার হাতে দিচ্ছেন এক ঠোঙ্গা মুড়ি আর বাতাসা!
অনুষ্ঠানের দিনেও তিনি এ-ভাবেই নিজের কাজে ব্যস্ত রইলেন।
স্কুল মাঠ দেখতে দেখতে ভরে উঠল। ছাত্র-মাস্টারমশাইরা তো বটেই, গ্রামবাসীরাও আজ খুব খুশি!
উৎসবের মেজাজে উপহার হাতে নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছেন তাদের প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের জন্য! কারো হাতে ফুলের তোড়া, কারো হাতে বই, কেউবা এনেছে খেতের সবজি, কেউ বা তিনুর দই!
দেখতে দেখতে একটা ভিআইপি গাড়ির হর্নের আওয়াজ স্কুল-গেটের সামনে এসে থামল। আগে-পিছে পুলিস ভ্যান! সাংবাদিক এবং সিকিউরিটিদের ঘেরাটোপে এগিয়ে আসছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী-
আসলে আজকের অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যেই হলো- ‘মাস্টারমশাইকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা!’- এই কথাটা সবাইকে জানানো হলেও মাস্টারমশাইকে ইচ্ছে করেই জানানো হয়নি! এই আয়োজন হয়েছে, হেডস্যারের উদ্যোগে এবং সারা গ্রামের মানুষের আবদারে!
হেডস্যারের হাত ধরে মঞ্চে উঠতেই মাস্টারমশাইয়ের দিকে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী, ঝুঁকে পড়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বললেন, “চিনতে পারছেন স্যার?”
একটু সময় নিলেন, তার পরেই বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন-
“তোমারেই তো খুঁজছিলাম! অনেক কাম কিন্তু এহনও বাকি আসে! কয়েকটা খুব সত্বর করতে হইবে”!
কথা বলতে বলতে ওঁরা মাস্টারমশাইকে নির্দিষ্ট আসনটিতে বসালেন। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা হাততালি দিয়ে ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন! সাংবাদিকদের ক্যামেরায় তখন ঘন ঘন আলোর বিচ্ছুরণ, চারদিক আলোয় আলোকময়! ছাত্র থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষ, সকলেই সারিবদ্ধ হয়ে তাদের মাস্টারমশাইয়ের হাতে উপহার তুলে দিতে লাগলেন!
খুশিতে আজ মাস্টারমশাইও আপ্লুত হয়ে পড়লেন!
সব দেখেশুনে মুখ্যমন্ত্রী অবাক হয়ে গেলেন! ঘোষণা করলেন-
“অনেক কথা হল স্যারের সঙ্গে, সব উপদেশ আমি মাথা পেতে নিলাম। আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা যাতে নিখরচায় হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা নেব! শুধু তাই নয়, দুপুরের খাবারেরও ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি স্কুলে। এবং বয়স্কদের জন্যও চালু হবে সান্ধ্যস্কুল! এ সব কর্মকাণ্ডের মূল দায়িত্বে থাকবেন আমাদেরই প্রিয় ও পূজনীয় স্যার শ্রী যোগেশ চন্দ্র ব্যানার্জি মহাশয়”!