যা কিছু গোপন
শ্রী নীলকান্ত মণি
প্রশ্নটা আমিও দেখেছি৷ দেখিনি,
এমন তা নয়৷
মহাদেব নিজে এসে দেবে বরাভয়
আমার তো এমন ভাগ্য নয়৷ তাই—
কেন জানি মনে হলো
এ বিতর্কে জড়ানো টা হবে পাগলামি!
লিখি লিখি করেও তা এড়িয়ে গেলাম!
নাঃ, মোটেও তা ভণ্ডামি নয়৷
তবে এড়িয়ে গিয়েছি৷ তা ঠিক!
কাব্যিক আলোকে
তার বিস্তৃততর পরিচয় দেওয়া যেতে পারে
এ বিষয়ে একটুও সংশয় নেই৷
শুধু দ্বিধা ছিলো, আছে ও,
এ বিষয়ে কিছু বলতে চাওয়া
পক্ষে আমার না ও যেতে পারে!
বিষয়টা আমার
অনধিকার চর্চার পর্যায়ে পড়ে! তবু ও
কিছু বা আভাসে
ঠারে ঠারে ছুঁয়ে গেছি তাকে!
যা কিছু গোপন
তাকে উঁকি দিয়ে দেখাই দস্তুর!
কিছু অস্পষ্টতা সেখানে থাকবেই৷
অতি সন্তর্পণে তার স্বাদ নিয়ে থাকি!
দুধের যে স্বাদ ঘোলে তা মিটবে কি!?
সে রহস্যময়!
তার কথোপকথন
বাসর ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে কান পেতে শুনি৷
কিছু শব্দ যা কানে আসে
তাই দিয়ে মনে মনে যে জাল বুনি
তা দিয়ে তাকে চিনে নেবো
এতো বড়ো গুণী তো আমি নই! তবু
নানা মুনি নানা মতে নানা ভাবে
সামনে সাজিয়ে ধরে তাকে!
শুনি তা মন দিয়ে! যা বুঝেছি
নুনের পুতুলি ডুব দিলে সাগরের জলে
সে কি আর নিজে বেঁচে থাকে!
আনন্দে ডুবে গেলে আর কেউ নয়
আনন্দ-ই শুধু
একা জেগে থাকে৷
জবরদস্তি সেখানে ঢুকে পড়া টাও
আদৌ কি ঠিক হবে!
শক্তি মধ্য গত
বাণলিঙ্গ ভাবে মূর্ত যে শিব
স্বরূপ গত ভাবে, বিচিত্র কি
আনন্দ অনুভবে
তা তো জ্যোতির লিঙ্গ-ই হবে!
বস্তুকে অবলম্বন করে সে তখন বস্তুকে
অতিক্রম করে গেছে!
সৃষ্টির মাহাত্ব তো সেখানেই!
উদ্দেশ্য হীন
ধরিত্রীর বুকে ক্রমাগত গর্ত খুঁড়ে গেলে
আখেরে কি কিছু লাভ হবে!
অনুভব হয় যদি একাগ্রতা হীন
কে বা কখন কার কাছে কি বা জানবে তবে!?
আনন্দ অনুভব
অভিজ্ঞতা-ঝুলি খানি তার ভরে নিয়ে থাকে,
তা ভরে রাখে পরোক্ষ ভাবে!
যে মুহূর্তে লক্ষ্য নড়ে যায়,
নিমেষ মাত্রেই সে হারিয়ে যায়!
জনে জনে সে ঝুলির রসদ ভাঙ্গিয়ে করে তা আস্বাদন
একা একা৷ যে যেমন পারে!
কথা কওয়া যেখানে বারণ, বিতর্ক সেখানে
শূন্যতা ছাড়া
আর কি-ই বা দিতে পারে!?
আমি অভাজন প্রত্যক্ষ জ্ঞান হীন৷
পরোক্ষভাবে যে টুকু জানি বুঝি তাই তো লিখেছি!
মিছে দোষারোপ করা কি তোর সাজে!
—oooXXooo—