লড়াই করে বাঁচতে হবে
রতন চক্রবর্তী
“””””””””””””””””””
বিশ্বের বুকে যত না দিবস হয়ে থাকে পালন
তারই মাঝে ঐতিহাসিক ৮ ঐ মার্চ
আন্তর্জাতিক নারী দিবসটাকে
রেখেছেন নারীরা মনের গভীরে |
তাই এই দিনেতেই , ওরা নারীরা সর্বত্র
নারী মনে চেতনা করে জাগ্রত
সংকল্প ও সাহসিকতার উদযাপন ঘটিয়ে
নারী স্বাধীনতা আদায়ের সাথে
অগ্রগতির প্রতিফলন সহ চিরকালের জন্য
আনতে চায় সমতা , লিঙ্গ অ-সমতা দূর করে |
সূর্য্যের অতিবেগুনি রশ্মির মতো শক্তিশালী ওরা
দূর্গা , কালির মতো ত্যাজস্যিনী
মায়ের মতো ধৈয্যশালী স্নেহময়ী
ভগ্নির মতো সেবিকা
স্ত্রী রূপে প্রেম সুখ দাত্রী বহুগুন সমপন্যা নারী
ওরা কি না পারে , ওরা সব পারে |
ওরা যেমন পাহাড় জয় করতে পারে
সাগরের তলদেশে থাকা সম্পদের সন্ধান করতে পারে
ভূমি থেকে আকাশে বিচরণ করতে পারে
দুর্ধর্ষ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে পারে
তেমনি নারী বিদ্বেষী অমানুষদের অবিচার আর
নারী মাংস লোভী রাক্ষসদের বিরুদ্ধে
প্রবল সংগ্রামেও নাবতে পারে |
মৃত্যু ভয়হীন মানসিকতা ওদের !
ওরা জানে প্রকৃতির নিয়মে জন্মিলে মরিতে হবে
তাই লড়াই লড়াই ,লড়াই চাই
লড়াই করেই বাঁচতে হবে সকল নারীদের
আজো এ সত্যটাকে অন্তরে পোষণ করে |
(১৯৭৫ সালকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করিয়া ছিল | সেই বছর ৮ ঐ মার্চ হইতে নারী বছর পালিত হইতেছে | এটি এমন একটি দিন যখন নারীরা জাতীয় , জাতিগত , ভাষাগত , সাংস্কৃতিক , আর্থিনৈতিক , রাজনৈতিক বিভেদ বিবেচনা না করিয়া তাহাদের কৃতিত্বের জন্য স্বীকৃত হইয়া থাকে | সেই প্রথম হইতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস এই ভাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মহিলাদের জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক মাত্রা গ্রহণ করিয়াছে |
তাই আমি একজন সাধারন কাব্য সাধক হইয়া ৮ ঐ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সকল নারী জাতির উদ্দেশ্যে এবং তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শনের স্বার্থে নিন্মে একটি স্বরচিত কবিতা লেখার চেষ্টা করিয়া তাহা আমার ফেস বুকের ওয়ালে থাকা পাঠক , পাঠিকা মহলের কাছে প্রেরণ করিলাম)
—oooXXooo—