প্রিয়তমাসু
অরবিন্দ নাহা
আজ আমি এপাড়ে
সঙ্গী বিহীন একা —–
কথা দিয়েছিলাম তোমাকে
কোলকাতা দেখাবো,
কিন্তু কথা রাখা আমার হলো না ,
-ক্ষমা করো।
আজ তোমার কল্পনার শহর
তোমার স্বপ্নের শহর কোলকাতার
প্রতিটি ইটে -কাঠে-পিচে-পাথরে
দেওয়ালে -দেওয়ালে খুঁজে পাই
তোমার যাদুকরী সে দুটি চোখ
যে চোখ আমাকে আগলে রাখতো–
শাসন করতো –সাহস যোগাতো
অনুরাগে ভরিয়ে দিত আমার হৃদয় ,
তবু আমারই হাতে একদিন
তোমার মৃত্যু হলো।
না মৃত্যু নয় —তোমার মুক্তি ।
তুমিই তো মুক্তি চেয়েছিলে
যখন সীমান্তে মানুষ নামক জীবগুলি
পশুদেরও লজ্জা দিয়ে বিজয় উল্লাসে
তোমার দেহ থেকে খুলে নিচ্ছিল
একটি একটি করে
শেষ সুতোর বসনটুকু,
আর আমি যে ছুরিটা লুকিয়ে এনেছিলাম
তোমার আমার আত্মরক্ষার জন্য
তারই সাহায্যে তোমাকে মুক্তি দিলাম।
যাবার সময় তুমি বলেছিলে,—
-“-সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় রইলো,
দেখো, আবার আমাদের মিলন হবে ।”
কিন্তু আর কতকাল —-
কতকাল আমি অপেক্ষা করে থাকবো ?
—oooXXooo—
(বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নৃসংশ অত্যাচারের ফলে যারা ওদেশে থেকে
পালিয়ে আসছিল ভারতে আশ্রয় নিতে ,
তারা ভারতে প্রবেশের আগেই যে অসংখ্য
অমানবিক ঘটনা ঘটে তারই একটা
উদাহরণ তুলে ধরবার চেষ্টা করলাম।)