নারীকথায়
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
বসন্তের নীলাভ মেঘে ,
ক্লান্ত ছিল দুচোখ ভরা কাজল।
যখন চেয়েছ ,চা এর কাপে
আমি শুধুই ক্ষমা করি পৃথিবীর পিছুটান।
ক্ষমা করি, খোপাবিহীন আমার এলোচুলে
তোমার সাজানো সং সার ,টবগাছ।
ক্ষমা করি, আর আকড়ে ধরি
অলং কারের রং মশাল।
একেছ, ঘুমের ঘোরে, কৃষ্ঙসার হরিন।
লিখেছ অনেক কবিতায়,
বকুল ফুলে ফেরারী শ্রাবন পাখি
একবারো জিতিয়েছ কি আংটি বদলে
পাল্টাবদল নদীর ঢেউ।
জেনেছ কি, বৈদিক শরশয্যায় নারীও?
কেদেছ কি ? নৌকাডুবির পর আত্মবিশ্বাসে
ভাঙা মন্দিরে ব্যাধের তীরে
মৃত ইন্দুমতীর শরীরে রক্তচাপা রক্ত।
ভাবি না আমিও,
শুধু দেখি নিত্য সভায়
পুরুষের মনখালি খাদি কটন।
আর দ্রৌপদীর বস্ত্রহরন।
কারো ঘরে মেয়ে, বোন প্রতিদিন
জেতাতে চায়
অপাপবিদ্ধ কোজাগরি আম্রমুকুল।
সীতার বনবাসে, ভাঙা মন্দিরে
আমিও একে ফেলি বিন্দু।
তুমি শরীরে ছেটাতে চাও প্রস্রাব।
লিখতে গিয়ে সোনালী ফসল লেসে
ওলটায় না সিদুরকৌটো, সুখসারি আলেখ্য।
তাই কি তোমার এত ক্ষুরধার লেখনী দর্প।
তোমার পরে, চক্রাকার নাভিভরে
গভীর আর্তনাদেও রাখতে চাইনি
পুরুষ বন্ধূত্ব।
বাচিয়ে রাখি, গভীর খাদে
গোধূলি বেচে থাকায় মন আজো।
বৃদ্ধাশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম ।
থর মরুভূমি, তোমারি মত
প্রতিবার প্রশ্ন তুলত
ডি.এন.এ .ফুলপল্লব!!!!
বলতে তুমি সগর্বে
বড়ই অশুভ আমার মত তুমিও।
পৌষের শীতে নিজের সবটুকু রঙে
ঘিরে দিতাম কম্বলের পরশে
তোমার কষ্ট।
নিজেকে রাখতাম বিবর্ন।
বলতে তুমি, আজ থেকে গুনতি দিনে ,
আমিও হলাম মাতৃহারা কর্ন।
নদীটি, (মাগীটি )
আমিও হলাম মাতৃহারা কর্ন।
—oooXXooo—