তুমি কি সুগন্ধি ধুপের ধোঁয়ায় আর রোশনাই আলোর তীব্র ছটায় থাকবে চোখ বুজে পঁচিশে বৈশাখে ?
তোমার স্বদেশে তুমি আজ কোথায় রবীন্দ্রনাথ ? সোনার ফসল পুড়ে সব শ্মশান ভূমি, ক্ষুধায় বিপন্ন গ্রাম……. শহরের ফুটপাথে রঙিন মলাটে মোড়া বিকৃত ছবি ; বন্ধ্যা সাহিত্য,… ভাষার বিপন্নতায়— …. মৃদু হেসে প্রগতির পথে হাঁটি ।
অথচ বাঁচার জন্য রবীন্দ্রনাথ কি নিদারুণ লজ্জায় দাসখত্ লিখে দিয়ে আজ আমার কন্ঠ স্তব্ধ, দখলের লড়াইয়ে উজাড় কত মানুষের ভিটে-মাটি নেপথ্য নায়কের কাছে মাতাল , পোষা গুন্ডারাই খাঁটি। নিরুপায় মুখগুলি ভয়ে একাকার ছিন্নমূল আমি ভাবি তুমি কি ফেরার ?
এদেশে তুমি কি আবার লিখবে রবীন্দ্রনাথ ? আমাদের মুক্তির ব্যাকুলতায় চোখ মেলে তাকাবে ,—সহাস্যে ? পৌঁছে দেবে প্রত্যাশিত বাতাস ? তুমি কি ধরবে মেলে স্বপ্নময় আকাশ ?
শোন রবীন্দ্রনাথ, যেদিন অন্ন–বস্ত্রহীন নিরক্ষর বাক্যহীনেরা দলবদ্ধ আক্রমণে গুড়িয়ে দেবে সিংহাসন, নেপথ্য নায়কের শাসন আর শোষণের মৃত্যু হবে স্থির, প্রয়োজনে আমার বুকের রক্ত দিয়ে আলপনা এঁকে দেবো সেদিন, সেই দিন- সেই দিন পুনরায় লিখো তুমি ছড়িয়ো মুক্তির বাতাস ; সাম্যের মাটিতেই জন্ম নেব জেনো নতুন আশ্বাস — —প্রাণের বিশ্বাস।