রবীন্দ্রনাথের প্রতি
অরবিন্দ নাহা
তুমি কি সুগন্ধি ধুপের ধোঁয়ায়
আর রোশনাই আলোর তীব্র ছটায়
থাকবে চোখ বুজে
পঁচিশে বৈশাখে ?
তোমার স্বদেশে
তুমি আজ কোথায় রবীন্দ্রনাথ ?
সোনার ফসল
পুড়ে সব শ্মশান ভূমি,
ক্ষুধায় বিপন্ন গ্রাম…….
শহরের ফুটপাথে
রঙিন মলাটে মোড়া বিকৃত ছবি ;
বন্ধ্যা সাহিত্য,… ভাষার বিপন্নতায়—
…. মৃদু হেসে প্রগতির পথে হাঁটি ।
অথচ বাঁচার জন্য রবীন্দ্রনাথ
কি নিদারুণ লজ্জায়
দাসখত্ লিখে দিয়ে
আজ আমার কন্ঠ স্তব্ধ,
দখলের লড়াইয়ে
উজাড় কত মানুষের ভিটে-মাটি
নেপথ্য নায়কের কাছে মাতাল ,
পোষা গুন্ডারাই খাঁটি।
নিরুপায় মুখগুলি ভয়ে একাকার
ছিন্নমূল আমি ভাবি
তুমি কি ফেরার ?
এদেশে তুমি কি
আবার লিখবে রবীন্দ্রনাথ ?
আমাদের মুক্তির ব্যাকুলতায়
চোখ মেলে তাকাবে ,—সহাস্যে ?
পৌঁছে দেবে প্রত্যাশিত বাতাস ?
তুমি কি ধরবে মেলে
স্বপ্নময় আকাশ ?
শোন রবীন্দ্রনাথ,
যেদিন অন্ন–বস্ত্রহীন
নিরক্ষর বাক্যহীনেরা
দলবদ্ধ আক্রমণে গুড়িয়ে দেবে
সিংহাসন, নেপথ্য নায়কের
শাসন আর শোষণের মৃত্যু হবে স্থির,
প্রয়োজনে আমার বুকের রক্ত দিয়ে
আলপনা এঁকে দেবো সেদিন,
সেই দিন- সেই দিন
পুনরায় লিখো তুমি
ছড়িয়ো মুক্তির বাতাস ;
সাম্যের মাটিতেই জন্ম নেব জেনো
নতুন আশ্বাস —
—প্রাণের বিশ্বাস।
—oooXXooo—