নমস্কার। আমি আজ বাধ্য হলাম আপনাদের কাছে আসতে। কারণ আমি যখন মানুষ ছিলাম তখন বারবার শুনেছি মানে শোনানো হয়েছিল জনতার আদালত শ্রেষ্ঠ আদালত। আর এই জনতার ভোটে শাসক মনোনীত হন। এ পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞেস করছি যেটা ভূত হয়ে বেশি করে চোখে পড়ছে। আমার আগের জন্মে আমি দেখেছি আমাদের পাড়ার বাঁটুলদাকে। ছোট্ট বেলা থেকেই দেখেছি। লেখাপড়াতে বিশেষ মন ছিল না। তবে ওর দাদা খুব পরিশ্রম করত। পরিশ্রম এর ফল তো আর বৃথা যায় না। মাধ্যমিক পরীক্ষাতে থার্ড ডিভিশন পেল ঠিক ই। কিন্তু পরের সে ওকালতি পাস করলে। এ কোর্টের উকিল নয়, ওই যে গো বেশি আয় করলে ট্যাক্স দিতে হয় তার উকিল।তবে মনটা খুব ভাল ছিল। বোন এর বিয়ের পর নিজে বিয়ের পিঁড়ি তে বসলে। আপনাদের মনে হতে পারে এ আবার কী এমন। আর এত ঘটা করে বলবার কী আছে? অনেক অনেক দুঃখ নিয়েই বলছি । পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে গোলকধাঁধা। তাই অনেক অভিমান বুকে নিয়েই সরে এলাম। মানুষ এর সমাজ নাকি নিয়মের রাজত্ব? মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু এটা আপনারা ভুল জানেন। আমার মানুষ জন্মে আমার বাপের জমি মানে যাকে বলে বাপুতি সম্পত্তি সেটা প্রোমোটার ছিনিয়ে নিলে। আর সেই প্রোমোটার কে সাহস দিলে ওই বাঁটুল। বাঁটুলের রাগ ছিল ষোলো আনা। ওর যত না পারা সবের দোষ এর ওর ঘাড়ে চাপিয়ে আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা লাভ করত। তার উপর ওর মা ছিল শেওড়াফুলির মেয়ে। ভুল ইংরেজি বেশ দাপটের সাথেই বলত। আর জিনগত একটা প্রভাব এল বাঁটুলের মধ্যে। ঝগড়াতে ডিপ্লোমা বাঁটুলের কী উচিত হল আমার ভদ্রাসন টুকু নিয়ে রাজনীতি করা। দেশের নেতা ওই ফেল করা অকর্মণ্য টা। ওর বাপ কতদিন দুখের সাথেই বলেছে বাঁটুল কুড়ি টাকা সকালে দিয়ে বিকালে নিয়ে নেয়। তাহলেই বুঝতেই পারছেন দেশের নেতাদের কত আদর্শ। আমাদের ভূতের সমাজে সাম্যবাদ বিরাজমান। একটা গাছের ডালে পেত্নি,শাঁকচুনী,কানকাটার মা পাশাপাশি বসে পা দুলাই। আমাদের দেখতে ও ভীষণ সুন্দর। আমার মুখে কত মাংস ছিল। এখন বেশ টানটান। তোমাদের বললে তোমরা তো আসবে না। ওই মারিকলেদের দুনিয়ার মোহ ছাড়ে ই না তোমাদের। ওখানে প্রেম নেই। আমার কত ভালোবাসার কেউ মূল্য দেয়ার নাম করেনি। চুপিচুপি বলছি এখানে মামদো হামদো জামদো সবাই খুব ভালোবাসে।
আর প্রেমিকের মধ্যে একটুও হিংসে নেই। জামদোর সামনে মামদোকে গান শোনা ই। দুখের কথা কী বলব। আমার মনিষ্যির জন্মে আমি সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে কত কী লিখতাম। মরণদশারা গুণের কদর করতেই শেখে নি। সে গুড়ে বালি।শুধুই মুখ সোঙাসোঙি। আরও অনেক ব্যাপার স্যাপার।বন্ধুদের চান্স আগে।দূর দূর। থাক তোদের সাহিত্য। অমন টুকলিফাই মানুষ স্কুলের পরীক্ষার ক্ষেত্রেই করে। ওই যারা বছর বছর ওরাঙ ওটাঙ চিতপটাঙ।ছো ছো। কেয়া শ্রম কি বাত। দুব্বো ঘাসে গলায় দড়ি। আহা আহা!সাহিত্য নামে এ কী ছিরি!তার উপর গলাবাজি। পুরুষ পুঙ্গব ছুটে আসবেন। রায়ের বহর দেখলে হেসে বাঁচি নে। বলবেন পৃথিবীতে দুটো মানুষ এক দেখতে হলে দুটো লেখা ও এক হবে! সকালের আলো ফুটেছে। এখন আর নয়। একটা গান শুনিয়ে বিদায়ের ঘন্টা দিলাম “আঁজঁ তঁবঁ অঁই টঁকুঁ থাঁকঁ/বাঁকিঁ কঁতাঁ পঁরেঁ হঁবেঁ।