অবশ্য ভগবতী’গিন্নির কত্তার মেজাজ নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই; তাঁর যত চিন্তা, দুগ্গার আগমন নিয়ে-
“হ্যাঁ রে বড়ো’খোকা, বলি দুগ্গা আসছে কীসে?”
“প্রতিবারই তোমার এএকই প্রশ্ন! আচ্ছা; হাতি-ঘোড়া যাতেই আসুক, তা জেনে তুমি করবেটা কী শুনি? তুমি কি তাঁকে আনতে যাচ্ছ? যাঁরা তাঁর সঙ্গে অসছে, তাঁরা ঠিক তাঁকে যত্ন করে নিয়ে আসবে। তাই ওসব চিন্তা ছেড়ে বাবাকে গিয়ে বলো দাশরথি’কে খবর দিতে।”
গিন্নি’মা তাঁর বড়ো খোকার মুখের ওপর বড়ো একটা কথা বলেন না, তাই ‘খোকার কথায় যুক্তি আছে’- ভেবে নিয়ে তিনি এগোলেন কত্তার খোঁজে।
***
বাড়ির সদস্যরা অন্যসময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও এই সময় সকলেই ঘরমুখো হয়! দেখুন না, ‘কাকলি’ পি.জি. ছেড়ে দিয়ে আজ কেমন বাড়ি ফিরে এসেছে! ‘কাকলি’ হচ্ছে চাটুজ্যে’বাড়ির একমাত্র মেয়ে, সকলের খুবই আদরের। সেও কিনা একটা ভালো কাপড় সঙ্গে এনেছে দুগ্গাকে দেবে বলে!