রাখাল ছেলে
স্বপ্না নাথ
রাখাল ছেলে ধেনু চরায় মাঠে,
রাখাল ছেলে বৃত্ত আঁকে শূন্য আকাশ পটে।
কোনটা সবুজ, কোনটা নীল, কোনটা লালে ভরা,
কোনটা কালো, কোনটা সাদা, কোনটা আলোয় ভরা।
কোনটা নেভে, কোনটা জ্বলে, কোনটা যেন জোনাক হাসে,
কোনটা কাছে কোনটা দূরে,
কোনটা থাকে পরবাসে।
রাখাল ছেলে ধেনু চরায় মাঠে,
তার বাঁশির সুরে দুধের ধারা শূন্য বাটে,
বর্ষা ধারায় জীবন ফোটে,
ঘুর্নি হাওয়ায় হৃদয় ছোটে,
অসীম চোখে,
নবীন মেঘে,
সোনার বরণ শিশু হাটে।
রাখাল ছেলে ধেনু চড়ায় মাঠে,
দ্বিপ্রহরের আঁচল তলে,
লাল হলুদের ফাগুন জ্বলে ,
মাতাল করা সুরের ধারায়,
রামধনু রং কুসুম ফোটে।
কুসুম ফোটে, রক্ত ফোটে,
দল বেধে সব জীবন জোটে,
সাগর বেলার বালু তটে,
ঢেউগুলো সব মাথা কোটে।
ঘনায় আধার পারের ঘাটে,
বাড়ির ঘাটের উল্টো পিঠে,
কি আছে সেই কল্পপটে,
স্বপ্নধেনুর শূন্য মাঠে!
শূন্য মাঠে, ভরা মাঠে,
যায় কি দেখা ক্ষুদ্রপটে?
সবুজ ঘাসের সময় তটে,
রাখাল ছেলে ধেনু চরায় মাঠে,
অদৃশ্য সেই সুতোয় বোনা,
মহাকালের মহা ঘটে।
—oooXXooo—