শুভ কি অশুভ রাত্রী-র আগমন কখনো না যদি ঘটে ভুলেও কখনো কি কেউ শুভ প্রত্যুষের করতো আরাধনা!? সেইমতো আচার আচরণ করবার প্রয়োজন পড়ে কি কভু তার! কিছু ব্যতিক্রম হয়তো আছে হয়তো কেন অবশ্যই আছে অন্যথা, সাধারণ ভাবে কেউই তা করে না যে তা বলার অপেক্ষা কি রাখে!? প্রেত পিতৃ-পক্ষ ক্ষয় না হলে দেবী-পক্ষ কি আসে! আঁধার রয়েছে তাই আলোর কদর৷ না হলে আলোর উৎস কে নির্ঘাত বাঁচতে হতো নিতান্ত অবহেলা সয়ে! তা কি তার প্রকৃত যা মর্যাদা, মাহাত্ম্য তাকে প্রতিষ্ঠা দিতে পারত কি কোন ভাবে কোন কালে! জল আলো বায়ু ধরিত্রী মাতার পাতা বুক উন্মক্ত উদার সে বক্ষ পট যেথা নিত্য এতো আনাগোনা ঘটে সেই সে ভুবন-নদী তটে এমনই রয়েছে যারা অকৃপণ উদ্বাহু আহ্বান, ডাকে কাছে আয়, সবাই কে ভালোবাসে কে আর তাদের সংবাদ তেমনি করে ভালোবেসে রাখে! প্রতি ক্ষণে তাদের-ই খর্ব করে করেছি নিজের মূল্যায়ন, করেছি নিজেকে জাহির তস্করের মতো আচরণ আমি, আমরা অর্বাচীন যে কোন জন মূলত যা হীন বোধের অপরিসীম অন্ধ অস্মিতার ফসল স্পর্ধা, সে স্খলন৷ অঢেল উপস্থিতির কারণে প্রতি পদে যে কোন অজুহাতে করেছি তাদের মূল্য হরণ নিতান্ত অ-প্রয়োজনে! আস্ফালন অতি নিম্ন মানের রুচি শূন্য উচ্চকিত উচ্চারণে হত মান করেছে তাদের, করছেও এবং তা করবে ও অনাহত ভবিষ্যতে, খোলা প্রাঙ্গণে! ধনি সে আগমনী, পদধ্বনি শ্রুতি সে অশ্রুত নূপুর নিক্বণ, আবরণ হীন তার যে আভরণ, যেচে যে করে বিতরণ আপনারে, সে হস্ত উদার প্রত্যেকের বাঁচার রসদ যে যুগিয়েই গেছে নির্বিকার কে আর বলো কবে তারে দিয়েছে মর্যাদা! বিকার-গ্রস্ত সে গর্বিত আপন অনুভব উচ্ছিষ্ট করেছে প্রদান তারে নিয়মিত যখন যে ভাবে পেরেছে খাটো করে দেখিয়ে গিয়েছে তারে সর্ব সময়ে যে ছিলো উপস্থিত উপেক্ষিত একান্ত সে অনুগত জন উপকার ছাড়া, কখনো কোন ভাবে করেনি যে কোন অপকার! বিচিত্র এই যে জীবন, উপহার যে দিয়েছে, সে চিরকাল ছিলো অম্লান, আছে এবং সে সে-রকমই রবে আগত ভবিষ্যতে!