বাবা আমার প্রায় বলতেন সুর মিলিয়ে সুরে, মন না রাঙিয়ে যোগী, বসন রাঙালো ভুল করে! হায়! স্বামী বিবেকানন্দ যদি হওয়া যেতো মাথায় পাগড়ী পরে!
পারস্পরিক বিশ্বাস ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কে হত্যা করে বুলি কপচানোই উপজীব্য যাদের হৃদয় হীন সে সব চতুর মানুষ তাঁদের কাছে যথার্থ বক্তব্য, যে কোন ফুৎকারে, নানা ভাবে বিকৃত করা, এ বিষয়ে পাকা ওস্তাদ যারা দেঁতো হাসির যোগানদার রসদ যথেষ্ট সে প্রকার, হাতে তাদের আগেভাগে প্রচুর পরিমানে মজুদ করাই থাকে৷ মূল কেটে, গাছের ডগায় জল ঢালা— পাটোয়ারী এই বুদ্ধির যারা মদত-দাতা, ধ্বজা-ধারী, চটকদারি বাক্য-ছটা কথায় কথায় মুখে তে খই ফোটে আলো কেও আঁধার বলে প্রতিপন্ন করা, তাদের কাছে বাঁয়া হাত কা খেল তা কে না জানে আর! ভুল করে, সব জেনেও না জানার ভান করে যারা তাদের, কীই বা বলার আছে৷ মনের ভিতর এই সকলের, গোপন ষড়যন্ত্র আছে৷
সুতরাং……
সমাজ-জীবনের নৈতিক মান ধ্বংস হওয়া একবার তা আরম্ভ হয়ে গেলে তাকে রোধ করে পুনর্গঠন করা এক দুঃসাধ্য কাজ৷ মেরামত তা করতে হলে যথেষ্ট ভাবে ধৈর্য ধরতে হবে! প্রয়োজন তার আছে৷ সময় দিতে হবে৷ বললাম, কিন্তু নিজের বুকের ’পরে হাত রেখে, জোর গলায় ক’জনই বা তা বলতে পারে! সেই ধৈর্য যথেষ্ট পরিমানে কার ই বা আর অবশিষ্ট আছে!? একটা দুটো হুজুগ পেলেই হলো! তারাই তৎক্ষণাৎ নেমে পড়ে দেশোদ্ধারে! সর্ষের মধ্যে থাকা ভুত নিজেই তারস্বরে চিৎকার দেয় জুড়ে, যেমন করে পকেটমারে! ভুত কে তাড়াবে তবে!? তাকাই যদি নিজের মুখের পানে বলবো কি আর, লজ্জ্বার সে কথা সন্দেহ নেই, বেশ ফাঁপরে ই পড়ি! বেশী কি বলবো আর! জন-গণের নৈতিক মান একবার, যদি তলানিতে ঠেকে শাসন করা যায় কি দেশ কেবল পুলিশ দিয়ে! মনে রাখা ভালো যারা পুলিশ, প্রশাসনে কাজ করে এই সমাজের অংশ তারা আমার তোমার কিম্বা তার কারো না কারো আপন বাড়ীর ছেলে নয়তো মেয়ে বাবা, কাকা মাসী পিসি যে কেউ হতে পারে! বিশেষ কি, তর্জনী টা তুলি যবে অপর কারো দিকে, বাকী তিনটি আঙুল কনিষ্ঠা মধ্যমা অনামিকা, তারা কিন্তু নিজের দিকেই তাক করে থাকে!