এ কেমন স্বাধীনতা?
সুপর্ণা দত্ত
বহু বীর সন্তানের রক্তে ভেজা
অর্জিত ভারতের স্বাধীনতা,
বহু মায়ের কোল খালি করা
দুঃখী মায়ের কষ্টের স্বাধীনতা।
শত শত স্ত্রীর সিঁথির সিঁদুর
মোছানো হাহাকারের স্বাধীনতা,
কত শত নারীর আত্মসম্মান
আর বেদনা বিধুর এই স্বাধীনতা।
বহু কাঙ্খিত, বহু লড়াই
তরুণশক্তির স্বপ্নের স্বাধীনতা,
বদ্ধ ঘরের দুয়ার ভেঙ্গেছে
পুরুষের সাথে নারীর সাহসিকতা।
বিপ্লবীদের দু’শো বছর লেগেছিল
শোষক এবং শাসকদের করতে দূর,
বর্তমানে দেশি শাসকের কণ্ঠে বাজে
ব্রিটিশের ফেলে যাওয়া সেই শোষণের সুর।
হে ভারত মাতা জন্মভূমিশ্চ
স্বর্গাদপি গরিয়সী,
তোমার চরণে শতকোটি প্রণাম
তুমি এই বিশ্বের মহিয়সী।
শত শত বীর জন্মেছে
তোমার কোলেতে একদিন,
আজও আমরা ভুলিনি তাদের
তাদের কাছে আছে কত ঋণ!
হে জন্মভূমি ভুলিনি তখনও
ছিল মীরজাফরের দল,
এখনও আছে বেড়েছে সাথে
নরপিশাচীক মনোবল।
হে মাতা বুভুক্ষ মানুষ আজও
কাঁদে থাকে যারা ফুটপাতে,
নরপিশাচেরা ছাড়েনা তাদেরও
শান্তিতে ঘুমাতে দেয়না রাতে।
নারী স্বাধীনতার হয়েছে মৃত্যু
নারী সম্মান আজ হয়েছে খর্ব,
ভুলে গেছে এরা শেষ অস্ত্র
নারীরাই পারে ফেরাতে গর্ব।
নরকের কীট আছে এ ধরায়
অর্থ লোভী, ক্ষমতা লোভী,
আছে কিছু কামাতুর পুরুষ
যারা নারী মাংস লোভী।
বেকারত্ব অরাজকতা হিংসা
বেড়েই চলেছে আজ,
ভায়ে-ভায়ে করে খুনোখুনি
পড়তে ক্ষমতার তাজ।
স্বপ্নেও তারা ভেবেছিল কি
করেছিল এমন আশা!
রক্ত ঝরানো স্বাধীনতায় আজ
ভরে যাবে এমন নিরাশা!
হয়েছে স্বাধীন নামেই মাত্র
বিদেশী ঋণে ডুবে গিয়েছে,
স্বাধীন ভারতে প্রতিটা শিশু
জন্মেই মাথায় ঋণের বোঝা নিয়েছে।
এ কেমন স্বাধীনতা যেখানে
মানুষকে অন্ধ ও বধির থাকতে হয়,
অপরাধ করে ক্ষমতার জোরে
সমাজেই তারা মাথা উঁচু করে রয়।
এ কেমন স্বাধীনতা যেখানে
সুবিচার পেতে সমাজের আগে,
প্রতিবাদের ঝড় তুলে সোচ্চার হয়ে
নারীরাই বিনিদ্র রাত্রি জাগে।
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤