“মা”
সুপর্ণা দত্ত
মা, ছোট্ট একটা কথা
তারই মাঝে লুকিয়ে আছে অন্তরের গভীরতা।
মা, একটা একমাত্রার শব্দ
যে শব্দ উচ্চারণে উধাও হয় সকল ব্যাথা।
মা, শব্দে আছে অসীম ক্ষমতা
শত বাধা পার করে তার সন্তানকে করেন রক্ষা।
মা, একটা শান্তির আশ্রয়
যেখানে শিশু পরম নিশ্চিন্তে ঘুমোয়।
মা, সে যে এক স্নিগ্ধ শীতল ছায়া
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সহ্য করে যেন দীপ্তি রত্নচ্ছায়া।
মা, নামাতে অপার স্নেহ
এমন শীতল পরশ দিতে পারে কি অন্য কেহ?
মা, হলেন সন্তানের দ্বিতীয় অক্সিজেন
যিনি সন্তানকে প্রতি পদক্ষেপে সাথে থাকার ভরসা দেন।
মায়ের আছে সন্তানের জন্য অগাধ ভালবাসা
তিনিই পারেন নিঃস্বার্থ বাসতে ভাল যোগাতে মনে আশা।
মা হলেন জীবনের প্রথম দেখা মুখ
মায়ের কোলে শুয়ে বেবীর মেলে ভুবনজোড়া সুখ।
মা হলেন সন্তানের প্রথম ডাক্তার
যিনি বোঝেন সন্তানের শরীর কখন কেমন থাকার।
মা সন্তানের প্রথম বন্ধু ও প্রথম ভালবাসা
তার কাছেই ব্যাক্ত হয় সকল স্বপ্ন আর মনের আশা।
মা যেন সন্তানের কাছে রূপকথার চরিত্র
সুখে দুঃখে ভাল মন্দে দেখা যায় মায়ের রূপের বৈচিত্র।
মা হলেন স্বয়ং জগদ্ধাত্রী
একা হাতে লড়াই করে সামলান আপন সন্ততী।
মা হওয়াটা সহজ নয়
সফল মা হতে গেলে রাতের ঘুম ত্যাগ করতে হয়।
জন্ম দিলেই মা হয় না
পেটের খিদে সহ্য করে বাচ্চাকে খাওয়ানোর নাম মা।
মা দেয় নিজের সুখ বিসর্জন
সন্তানের মুখ চেয়ে বাঁচেন অভাগিনী এক মা।
মা একলা হয়েও বহু কষ্টে
সন্তানের হাসি দেখে ভাল থাকেন মা।
মা একটু দূরে গেলেই ছেলে
দুশ্চিন্তা করেন শুধুই সমস্ত কাজ ফেলে।
মায়ের কাছে আমরা সবাই ঋণি
সেই ঋণ শোধ করা নয়তো সোজা, যাবে না কোনোদিনই।
মা ভগবানের এক শ্রেষ্ঠ দান
পৃথিবীর সকল মায়ের পায়ে আমার শতকোটি প্রণাম।
—oooXXooo—