টিফিনের ঘণ্টা পড়তেই তিতলি ছুটে গেল বিশ্বনাথের কাছে। বিশ্বনাথ হলো বেণী’চাচার ছেলে, ফুচকা বেচে। এদ্দিন চাচাই বেচত, ও মাঝে মাঝে আসত হাত পাকাতে। বয়সের কারণে এখন আর চাচা আসে না, চাচার ছেলে আসে।
বেণী’চাচার ফুচকা বরাবরই ভালো, তবে বিশ্বনাথেরগুলো যেন বেশিই ভালো! কেন যে ‘বেশিই ভালো’, তা ঠিক বলা যাবে না!
তবুও তিতলি সবসময়ই ওকে মেজাজ দেখায়, বকাঝকাও করে! কেন যে করে সেটা ও নিজেও জানে না! তাবলে বিশ্বনাথ রাগ করে না; করবে কেন, তিতলিকে তো খদ্দেরের চোখে দেখে না! ওর প্রতি কেমন যেন একটা ‘বুক-কাঁপা’ ব্যাপার আছে! অত বুঝিয়ে বলা যাবে না!
তিতলি এলেই বেছে বেছে বড় ফুচকাগুলো খাওয়ায়! ফাউ’টাও দেয় আসলের থেকে বেশি! সে-সব কারণেই তিতলির বকুনি তেমন কোনও ঝাঁকুনি দেয় না ওকে! উল্টে বেশ লাগে! ফুচকা খাওয়ার শেষে তেঁতুল-জলটা যেমন লাগে!
ওপরে ওপরে তিতলি যতই মেজাজ দেখাক, বিশ্বনাথকে নিয়ে ও অঅনেক কিছুই ভাবে! কারণ ছোঁড়াটা চাঁদের থেকেও সুন্দর! গায়ের রং-টা কালো হলেও শরীরে কোনও কালচে দাগ নেই! মাথার চুল থেকে পায়ের নখ- পুরোটাই নিখুঁত!
“ওদের মতো ঘরে এত সুন্দর দাঁত কী হবে, তা একমাত্র ভগবানই বলতে পারবে! যেমন ধবধবে সাদা তেমনই গুছিয়ে সাজানো! মনে হয়- তৈরি করার সময় ভগবান কোনও ডেন্টিস্টকে এনেছিল। আর শরীরটা যে কৃষ্ণনগরের প্রতুল পালকে দিয়ে গড়েছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই”!
এসব নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে হাসি-তামাশা লেগেই থাকে- “ভগবানের কি কোনও আক্কেল-জ্ঞান নেই? যে ছেলেটা রাস্তায় বসে সস্তায় ফুচকা বেচে তার অমন দামি গেটআপ দিয়ে কী হবে বাবা! বিয়ে হবে তো সেই ছাপরা’র কোনও এক ছুকরির সাথে! মাথায় চপচপে তেল, পরনে ক্যাটক্যাটে-লাল একটা শাড়ি আর পায়ে ‘দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’-ডিজাইনের চটচটে একজোড়া চটি”!
তিতলির তালে তালি দিয়ে সুলতাও বলে উঠল-“আর বছর দুই যেতে না যেতেই পিঠে আর কাঁখে একটা করে গঙ্গা আর কানাইহা এসে ভিড় জমাতে শুরু করবে”!
ওদের কথা শুনে বাকি সকলে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে আরকী!
তবে যে কথাটা তিতলি কাউকেই বলে না, সেটা হলো-
“আগের তুলনায় বিশ্বনাথ আরও সুন্দর হয়েছে! সবথেকে সুন্দর ওর গোঁফখানা! গজিয়ে উঠেই টিকালো নাক আর পুরুষালি ঠোঁটের মধ্যিখানে এমন করে ফুটে আছে- ইচ্ছে হয়, ওটাকে জাপটে ধরে……….”!
“ধ্যাৎ, কী ভাবছি আমি! একটা ফুচকে-ছেলেকে নিয়ে………..!
যা-তা একেবারে……………………”!
****
পরদিন স্কুলে গিয়ে তিতলি জানতে পারে- একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মারা গেছেন, ফার্স্ট পিরিয়ড হয়েই ছুটি হয়ে যাবে। এই সুযোগে সুলতা, ইন্দ্রাণী এবং আরাধ্য’রা ওদের ছেলে বন্ধুদের নিয়ে ‘ছায়াবানী’-তে নুন-শো দেখতে যাবে। তিতলিকেও বলেছে অনেক করে, কিন্তু ও রাজি হয়নি। মা-বাবাকে না বলে কোথাও যায় না যে।
স্কুল ছুটির পর তিতলি যথারীতি বিশ্বনাথের কাছে গেল-
-আজ তো তোর বেচাকেনা একেবারে লাটে উঠল রে বিশু!
*কী আর করা যাবে, রোজ কী আর একরকম বেচাকেনা হয়?
-তুই এক কাজ কর না, ‘ছায়াবানি’-তে চলে যা না।
*তা আবার হয় নাকি! ওখানে যারা বোসে আছে তারা আমায় বোসতে দেবে কেন! ওদের লুসকান হবে না বুজি!
-অতশত বুঝি না বাবা, তোর লোকসানের কথা ভেবেই কথাটা বললাম, এখন তুই কী করবি সেটা তোর ব্যাপার।
*আমার লুসকান হলে তোমার কষ্ট হবে বুজি?
-ওরে আমার ইয়ে রে! তোর লোকসান হলে আমার কষ্ট হতে যাবে কোন দুঃখে শুনি?
বাদ দে ওসব কথা, শোন না বিশু- তোর সঙ্গে আমার একটা দরকারি কথা আছে…
ফুচকা খাওয়া ছাড়া তিতলির আর কোনও দরকারি কথা থাকতে পারে- বিশ্বনাথ তা ভাবতেই পারে না! অতি উৎসাহে জিজ্ঞেস করল-
*কী কথা বলো না?
-দেখ না, এই পঞ্চাশ টাকার নোটটাকে কোথাও চালিয়ে দিতে পারিস কি না? কাল ব্যাগ থেকে বের করতে গিয়ে কীভাবে যে ছিঁড়ে গেল……!
বাবাকে দিলে হতো, কিন্তু বকা’ও খেতে হতো!
বিশ্বনাথ হাতে নিয়ে দেখে- নোটটা মাঝখান থেকে অনেকটাই ছেঁড়া ! কিন্তু তিতলির ‘টাকা’ বলে কথা, তাই অভয় দিয়ে বলল-
*এত চিন্তা করছো কেনো? আমি ঠিক চালিয়ে দেবে! তুমি এক কাজ করো, এই ভালো নোটটা রাখো!
-মারব একটা ঘুষি! বেশি দাতাগিরি দেখানো হচ্ছে না! এটা যদি চালাতে না পারিস তখন কী হবে?
*আমার কাছে এটা কোনও বেপারই নয়! কোতো জনের কোতো দুটুকরা নোট পাল্টে দিলুম, আর তোমারটা তো ওনেক ভালো আছে! এই দেখো, তোমাদের কিলাসেরই একটা মেয়ে এই কুড়ি টাকার নোটটা চালিয়ে দিতে বলেছে।
-ওরে বাবা, তোর কাছে তো অনেকগুলো ছেঁড়া নোট রয়েছে! দাঁড়া বাবা, আমারটায় একটা চিহ্ন এঁকে দিই-
তিতলি পেনটা বার করে টাকা’টার ওপরে একটা অর্ধচন্দ্র এঁকে দিল, শিবের জটায় যেমনটা থাকে! বিশুও তিতলির টাকাটা নিয়ে বাকিগুলোর সাথে না রেখে বুকের কাছে রেখে দিল!
-আচ্ছা বিশু, শুনেছি তোদের বাড়িতে নাকি অনেক রকম গাছগাছড়া আছে, তা কদবেল গাছ আছে রে? আমার দারুণ লাগে খেতে!
*না গো, কদবেল ছাড়া সোব গাছ আছে। আমার ফুপা সোব গাছ লাগিয়েছে বাড়িতে।
-হাঁদারাম কোথাকার! কদবেল’টাই তো লাগায়নি, অন্য গাছ দিয়ে আমার কী হবে!
*আমাদের পাশের বাগানেই ওনেক কদবেল আছে, আমি তোমার জন্যে ঠিক ম্যানেজ করে নিআসব!
*দেখিস বাবা, হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে আবার মারধর খেয়ে আসিস না যেন!
****
যে-কথা সেই-কাজ। বিশু ‘ইয়া-বড়’ একটা গাছে উঠে টপাটপ কদবেল পাড়তে শুরু করল! তিতলির খুশির কথা ভাবতে ভাবতে খেয়ালই করল না যে বাগানের মালী কাস্তে হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! নিচে নজর পড়তেই মাথাটা ঘুরে গেল! ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে ‘ধপাস্’- একদম মাটিতে……..!
~~~~~~
তিতলি ‘বিশু’-বলে চিৎকার করে উঠতেই মায়ের ঘুমটা ভেঙে গেল!
◆তিলতি, এই তিতলি, কী হলো রে?
-কিছু হয়নি।
◆’কিছু হয়নি’ বললেই হবে! এই তো কী-একটা নাম ধরে চিৎকার করে উঠলি! বিশুটা আবার কে রে, তোর সঙ্গে পড়ে বুঝি?
-বললাম তো কিছু হয়নি, তুমি ঘুমও।
◆দিনরাত কী যে করিস কে জানে! সারাদিন খাটা-খাটনির পর একটু যে শান্তিতে ঘুমোব তারও উপায় নেই! এই নে, জলটা খেয়ে নে।
মায়ের হাত থেকে জলের গ্লাসটা নিয়ে পুরোটা ঢকঢক করে খেয়ে ফেলল! দেখে মায়ের বুকটাও জুড়োল!
“আজ নতুন নয়, আগেও এরকম হয়েছে, তবে আজকের মতো দুঃস্বপ্ন নয়! এই বয়সে এরকম হওয়াটা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়!
কালই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে……”!
আবার বালিশে মাথা রাখলেন।
****
“বয়ঃসন্ধিকালে এরকম আচরণ অস্বাভাবিক কিছু নয়। একটু খেয়াল রাখবেন, একেবারে ছেড়ে দেওয়াটাও আবার ঠিক নয়। আসলে অপজিট-সেক্স-আকর্ষণ এই বয়সটাতেই শুরু হয়”।
তিতলির বাবা বললেন-
-ডাক্তারবাবু, আমরা সেকারণেই একটু চিন্তিত! ঘুমের ঘোরে প্রায়ই ঐ নামটা বলে, অথচ খুলে কিছু বলে না!
ডাক্তারবাবু হেসে বললেন-
-কী আর বলবে, প্রেমের কথাটা কী আর চট করে বাবা-মা’কে বলা যায়!
না না, অত সিরিয়াসলি নেবেন না, জাস্ট মজা করলাম!
ছেলেবেলার এইসব প্রেম-ভালোবাসা অনেকটা ঐ পুতুলখেলার মতো, বড় হয়ে ভালোমন্দ বুঝতে শিখলেই ভুলে যাবে। আমাদেরও তাই হয়েছে। হয়নি কি?
তিতলির মা বললেন- আপনার কথাই যেন সত্যি হয়! আসলে আমাদের একটাই মেয়ে, তাই চিন্তাটাও একটু বেশি”!
-আজ তাহলে আসি ডাক্তারবাবু, দরকার হলে আবার আসব কিন্তু”!
“অবশ্যই আসবেন, তবে আমিও চাই- অন্তত এই ব্যাপারে যেন আর না আসতে হয়”!
****
ডাক্তারবাবুর কথাই সত্যি হলো- মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক, তারপর কলেজ- একে একে সব পাট চুকিয়ে দিয়ে ‘মিস তিতলি মুখার্জি’ যখন ‘মিসেস তিতলি সেনগুপ্ত’ হয়ে উঠলেন তখন বিশ্বনাথ বা বিশুর স্মৃতি ফুরোতে ফুরোতে ফুলুস্টপে এসে পৌঁছবার কথা! একেবারেই যে পৌঁছয়নি তা নয়, তবে হঠাৎ হঠাৎ কেন যে মনে হয়- বিশু এসে পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে অথবা ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে এক দৃষ্টিতে লক্ষ রেখে যাচ্ছে! চোখে চোখ পড়তেই ভিড়ে মিশে যায়!
এসব কথা অয়ন’কে তো দূরের কথা- নিজের মা’কেও বলেনি। কী হবে বলে, যে শুনবে সে-ই ‘বোকা’ অথবা ‘পাগল’ বলবে! সত্যিই তো- গড়িয়া-হরিমতি-বালিকা বিদ্যালয়ে বসে যে ছেলেটা ফুচকা বেচে সে কীকরে কারমেল হাই স্কুল অথবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ দেখাতে আসবে!
আর এখন তো কথাই নেই। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে হিল্লি-দিল্লি ঘুরে-বেড়িয়ে এখন তিতলি’রা বেনারসের একটি সরকারি বাংলোতে থাকেন।
তিতলির হাল-হকিকত এখন একেবারেই অন্যরকম। বড়
সাহেবের গিন্নি বলে কথা! চাকর-বাকরের ছড়াছড়ি! ‘বাড়াবাড়ি’-বললেও ভুল হবে না!
-একটিবার বেরিয়ে এসে দেখুন বউদিমণি, এই বউটা ক’দিন ধরেই আমাদের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে! জিজ্ঞেস করলে কিছু বলছে না! বললেও কী যে বলে বুঝতে পারি না। আজ তো শুধু কেঁদেই যাচ্ছে…..! কী করব বউদিমণি?
বউদিমণি বারান্দা থেকে মুখ বার করে দেখলেন-
নীল শাড়ি পরা অল্প বয়সী একটি বউ! কাঁখে একটি মেয়ে আর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরও একটি মেয়ে! বউটা অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে, মায়ের দেখাদেখি বাচ্চাদুটোও!
বউটা ভয়ে ভয়ে এগিয়ে এল ঠিকই, কিন্তু চারদিক দেখেশুনে মুখ থেকে একটা শব্দও বেরল না! মনে হচ্ছে সুযোগ পেলেই ছুটে পালাবে! শিবরাম পিছনে থাকায় সেটা করতে পারল না!
-কোনও ভয় নেই তোমার! কেন এসছো? কে পাঠিয়েছে তোমায়?
শিবু একটা জলের বোতল আর একটা গ্লাস নিয়ে এসো তো।
এতক্ষণে দিদিমণিকে একা পেয়ে বউটা একটু ভরসা পেল।
-দিদি, আপনার সঙ্গে একা এট্টু কোথা বোলা যাবে? পাঁচ মিনিট!
ওকে দেখে অবিশ্বাস করার মতো কিছু মনে হলো না, তাই ড্রইং রুমে নিয়ে গিয়ে বসালেন। শিবরাম জল নিয়ে এলে ওকে চোখের ইশারায় চলে যেতে বললেন। মিনাকে ডেকে বললেন-
-আমার নাম আছে সীতা, আমার বরের নাম আছে সুখেনন্দর। চার বছর হয়েছে আমার বিয়ে হয়েছে। আগে কোলকাতায় গড়িয়া ইস্টিশানের কাছে থাকতাম।
-বেশ তো, এখানে, মানে আমার বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছো কেন? শিবু কি মিথ্যেকথা বলছে?
-না, উনি সত্যি বলছে।
-তাহলে কারণটা বলো। কোনও সাহায্য লাগলে অবশ্যই দেব।
বউটা ওঁর সব প্রশ্নের উত্তর এক নিমেষেই দিয়ে দিল…….
কাপড়ের খুঁট থেকে ছোট্ট একটা কৌটো বের করে ওঁর হাতে দিল। দিদিমণি কৌটাটা খুলে কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলেন, বুঝতে আর কিছু বাকি রইল না! জিজ্ঞেস করলেন-
-তুমি কি বিশুর বোন?
এরপর সীতার মুখে দীর্ঘ কাহিনি শুনলেন-
নিথর হয়ে বসে রইলেন বেশ কিছুক্ষণ!
“হতভাগা কীভাবে নিজের জীবনটাকে নষ্ট করে দিল! কিছু বুঝতে পর্যন্ত দিল না! অয়নকে বলে অনায়াসেই ওর জন্য একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম ! এই পাগলামির কোনও মানে হয়!
-দিদিমণি, দাদা হয়তো এখোনো বেচে আছে, আপনি যদি ওর মুখে এট্টু পানি দিতে পারেন…..!
সীতা তাড়াতাড়ি জল আর চামচ’টা দিদিমণির দিকে এগিয়ে দিল….
দিদিমণির চোখ তখন ঝাপসা! চোখের জল মুছে সযত্নে এক চামচ জল বিশ্বনাথের মুখে দিয়ে দিলেন….
বিশ্বনাথ তাতেই তুষ্ট হলেন…..!
তারপর এগিয়ে চললেন স্বর্গের দিকে…….!
সেখানেও হয়তো বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে! চলছে ফুল আর উলুধ্বনি আয়োজন!
দুই লোকের দুই উলুধ্বনি মিলেমিশে এক হয়ে ধ্বনিত হলো-
“ওঁ শান্তি….ওঁ শান্তি…..ওঁ শান্তি……..”
****
তিতলি ফিরে আসার সময় ছোট কৌটটা সীতার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন-“এই কৌটটা ওঁর সঙ্গে দিয়ে দিস রে সীতা!
আরেকটা কথা-
ওঁর সৎকার মণিকর্ণিকা ঘাটেই হবে! আমি ব্যবস্থা করছি!
****
তিতলি বাড়ি ফিরলেন তখন রাত প্রায় ন’টা।
সব শুনে অয়নবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- “ঠাকুরের কথাটা তোমার মনে আছে তিতুল”?
“চাঁদের আলো যেখানেই পড়ে সেখানেই জ্যোৎস্না নামে, তা নারকেল-মালা’ই হোক বা পুকুর-ঘাট”!