বাঁধন ছেঁড়া উড়ান
শ্রী নীলকান্ত মণি
দিচ্ছো উড়ান! দিতেই পার এক দিগন্ত
ঢেউ খেলানো মাঠ অনন্ত, বাউল বাতাস
কয় কথা তাই শত শত
অনন্য মন
আধার শূন্য বাহার কথার একক মনের
যে উপহার, সে একান্ত অনুগত বাঁধন মুক্ত,
ভাবটা এমন, যদিও তা
নয়কো সত্য কথন!
দায়-দায়িত্ব ছাড়া যে মন, অশক্ত, তাই
দাঁড়ায় দূরে, শত হস্তে গড়ে আড়াল,
মন আয়নার পায় না নাগাল
সে তো!
অন্তর্গত হৃদয় আকাশ শূন্য সে রয়,
অবাধ্য মন সাজে সাজায় যতেক দীপাবলী
উৎস হারা, তাই নিভে যায়
ক্রমাগত!
তাই সে নিজে জ্বলে যতো অন্য কে সে
জ্বলায় ততো, বেতালা সে নেভা-জ্বলা
ছল সে বেহাল হয়েই পড়ে,
ঘটে আখচারই তো!
মুছিয়ে দেবে চোখের সে জল ছলোছলো
পায়না সে তো সঙ্গী এমন, মন উচাটন,
আকুল হৃদয় পথ হারা হয়, হাল বেহাল
তরী যেমন, শত ছিন্ন হয়ই
তাহার পাল
জমবে পাড়ি শাশ্বত সে নয় তো তেমন,
কথার কথা, ব্যথার আকাশ, বাষ্পাকুল সে
আঁখির পাতা রয় ই যে তা ভিজে
অনন্ত কাল৷
নেই কো দাঁড়ি তেমন, গাল বেয়ে বয়
জলের ধারা, আ-দিগন্ত মূর্ত সে তার
রক্তাক্ত অক্ষি যুগল, ভুলের মাসুল
গুনতে গুনতে ফুরিয়ে যায়
সময়!
থামবে কোথায় না জানে তা, পথ হারিয়ে
ফেরে পথে, আকুল-হৃদয়-কান্না-স্রোতে
ভাসতে থাকে, পথের সে প্রাণ
ওষ্ঠাগত, অময় ফল্গু
পায় না শুনতে আপন কথন, উদ্ভ্রান্ত
মনের শিকার হতেই থাকে, পায় না ছুটি,
দুঃখের শরিক ছুটেই চলে,
যাবে কোথায় জানে না
সেই কথা৷
গন্তব্য ছিলো কোথায় ভুলেই গেছে কবেই যে তা,
ঠিকানা তার কভু ছিলো, আজকে তা আর নাইকো তাহার,
পথের মানুষ ব্যথার পণ্য
ঘাড়ের উপর বসা
অপার স্বেচ্ছাচার, মনের আকাশ বিহার সে তো,
মুখ থুবড়ে ই পড়ে, যেথা-সেথা, যখন তখন,
বাস্তব তো হয় না মনের মতো,
বৃথা ই সে আঁক কষা!
—oooXXooo—